আয়না ২৪ ডেস্ক
কোরিয় উপদ্বীপে কোনো যুদ্ধ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ প্রশ্নে তাঁর দেশ জোরালোভাবে ভেটো দিয়েছে।
জাতিসংঘের নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়।
দুই পক্ষই একে অন্যের ওপর হামলার হুমকি দেয়। এ সপ্তাহে অবশ্য সেই হুমকি থেকে কিছুটা সরে আসে উত্তর কোরিয়া। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই এ মন্তব্য করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মুন বলেন, কোরীয় যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করতে দক্ষিণ কোরীয়রা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি যেকোনো মূল্যে যুদ্ধ প্রতিহত করবো।’ মুনের মতে, ‘আমি চাই সব দক্ষিণ কোরীয় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করুক যে, কোনো যুদ্ধ হবে না।’ তবে তিনি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এ দিন আবারো হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আর কোনো উসকানিমূলক কাজ করার উচিত হবে না পিয়ংইয়ংয়ের। তাহলে তারা এমন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে যে, যা থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। সেই সঙ্গে পরমাণু অস্ত্রের কার্যক্রম বন্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তেজনা অনেক বেড়েছে। এটাকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দেশটির বিরুদ্ধে সপ্তম দফার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দেয়। যদিও পরে তারা সেখানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের এমন হুমকির পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ‘চরম শিক্ষা’ দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ওয়াশিংটনের অস্ত্র প্রস্তুত রয়েছে। ফলে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আগ্রাসী মন্তব্যের পর আশঙ্কা করা হচ্ছিল, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধেও যেতে পারে। তবে উত্তেজনা এখনো চরমে থাকলেও চীনের বিরোধিতার কারণে উত্তর কোরিয়া কিছুটা নমনীয়তা দেখাতে শুরু করেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন বলেন, সিউল তাদের নিরাপত্তা মিত্র ও রক্ষক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে জোরালোভাবে ভেটো দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্মতি ছাড়া কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে কোনো দেশ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।’