তদন্তে সাত পুলিশ অভিযুক্ত

আগস্ট ৭, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদন

রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনে আসে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান। এক সময় পুলিশ খুব কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কাঁদানো গ্যাসের শেল ছোড়েন। এতে আহত হোন সিদ্দিকুর রহমান।

এই ঘটনায় পুলিশের সাত সদস্যের সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। খুব কাছ থেকে ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল সিদ্দিকুর রহমানের চোখে লাগে বলে তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

আজ সোমবার এই কমিটির প্রতিবেদন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে জমা দেওয়ার কথা আছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এই ঘটনায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা হলেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর আলী বিশ্বাস ও পরিদর্শক (অভিযান) আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়া দাঙ্গা দমন বিভাগের (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট—পিওএম) পাঁচ কনস্টেবলের নামও আছে।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান যুগ্ম কমিশনার (অভিযান) মীর রেজাউল আলম বলেন, তদন্তে দায়িত্বরত থানার পুলিশ ও দাঙ্গা দমন বিভাগের পুলিশ সদস্যদের কর্তব্যে অবহেলা পাওয়া গেছে।

কমিটির এক সদস্য বলেন, ঢাবির অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার দাবিতে গত ২০ জুলাই শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। ওই সময় সেখানে কর্তব্যরত (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট-পিওএম) দাঙ্গা দমন বিভাগের পাঁচ কনস্টেবল ছিলেন আক্রমণাত্মক। হঠাৎ করেই তারা শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হলে তাদের একজন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি খুব কাছ থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়েন।

এতে তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের চোখে লাগলে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলের কাছে শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আবু জাফর আলী বিশ্বাস ও পরিদর্শক (অভিযান) আবুল কালাম আজাদ থাকলেও তারা পুলিশ সদস্যদের নিবৃত্ত করেননি। এমনকি তারা পুলিশ সদস্যদের সঠিক নির্দেশনাও দেননি। পুলিশ সদস্যরা অপেশাদারসুলভ আচরণ করেন।

ডিএমপি সদর দপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের পর পর্যালোচনা করে কমিটি দেখেছে যে এই কাঁদানে গ্যাসের উপকরণ চোখের জন্য ক্ষতিকারক ছিল।

গত ২৩ জুলাই মীর রেজাউল আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের এবং একই দিন রমনা বিভাগ থেকে ওই বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশাসন) নাবিদ কামাল শৈবালকে প্রধান করে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

রমনা বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও আজ জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, তারা আরও দুই দিন সময় চেয়েছেন। পরে ডিএমপি গঠিত তদন্ত কমিটি এক দফা সময় বাড়িয়ে গতকাল প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে।