আয়না ২৪ প্রতিবেদক
দেশের মাটিকে বিদেশি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কিছুতেই ব্যবহার করতে দেবেন না, বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরকে এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারতের পাশে বাংলাদেশ থাকবে বলেও আশ্বাস দেন হাসিনা।
দারিদ্র মোকাবিলা ও মহিলাদের ক্ষমতায়নে ঢাকার সাফল্যের উল্লেখ করে সরকারের প্রশংসা করেন মনোহর পর্রীকর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতে যান। প্রায় ৩০ মিনিট কথা হয় দু’জনের। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান পর্রীকর। তিনি বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার ভারত সফরের জন্য নরেন্দ্র মোদী অপেক্ষায় আছেন।’’ ১৯৭১-এর যুদ্ধে ব্যবহৃত একটি ভারতীয় হেলিকপ্টারের স্মারক ও ছত্রী বাহিনীর তোলা বাংলাদেশের কিছু দুর্লভ ছবি হাসিনার হাতে তুলে দেন পর্রীকর। ভারতীয় বিমান বাহিনীর সহায়তায় যে তিনটি আকাশযান নিয়ে ‘কিলো ফ্লাইট’ গঠিত হয়েছিল, ওই হেলিকপ্টার ছিল তার অন্যতম। ১৯৭১-এ ডিমাপুরে ব্যবহৃত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সদ্যগঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম ফাইটার হেলিকপ্টার ছিল সেটি। ভারতীয় বিমান বাহিনীর আইএল ৭৬ এয়ারক্রাফ্টে দু’দিন আগে স্মারকটি ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওই স্মারক হেলিকপ্টারটি রাখা হবে।
প্রতিরক্ষা বিষয়ক সহযোগিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন মনোহর। এছাড়া সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেকগুলো ‘নতুন উদ্যোগের’ প্রস্তাব দিয়েছেন মনোহর পর্রীকর।
এ দিন সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে শহিদ সেনাদের স্মারক ‘অনির্বাণ শিখা’য় শ্রদ্ধা জানিয়ে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে যান পর্রীকর। সেখানে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমি পরিদর্শন করেন তিনি। বুধবার রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকির সঙ্গেও কথা বলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
দুই দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়েন মনোহর।