আয়না২৪ ডেস্ক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ অযোগ্য হিসেবে অপসারিত হওয়ায় ‘স্বস্তি’ ব্যক্ত করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ। টুইটারে দেয়া পোস্টে তিনি শুক্রবার এ কথা বলেন।
শুক্রবার পানামা পেপারস সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে নওয়াজ শরীফকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতি সর্বসম্মতভাবে অযোগ্য ঘোষণা করে। এরপর তিনি নিজে থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। জেমিমা ১৯৯৯ সালে যখন দ্বিতীয় সন্তান প্রত্যাশা করছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি পাকিস্তান থেকে অবৈধভাবে ৩৯৭টি প্রাচীন নিদর্শন পাকিস্তান থেকে পাচার করার চেষ্টা করেছেন। সেই সময় ক্ষমতায় ছিলেন বর্তমানে পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ।
সেই ক্ষোভটাই টুইটারে ঢেলে দিয়ে জেমিমা বলেন, এটা স্বস্তির যে যখন আমি দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে যাচ্ছিলাম তখন আমাকে অ জামিনযোগ্য চোরাচালানের অভিযোগে কারাগারে পাঠাতে চেয়েছিল তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
১৯৯৯ সালে লন্ডনে মায়ের কাছে টাইলসগুলো পাঠাচ্ছিলেন জেমিমা গোল্ডস্মিথ যা লাহোরে কাস্টম কর্মকর্তারা আটক করেন। ইমরান খান ও জেমিমা সবসময় বলে এসেছেন তার এই টাইলসগুলো ইসলামাবাদের একটি দোকান থেকে ৫৭০ ডলার সমমূল্যের অর্থে কিনেছিলেন।
পুরাতত্ত্ববিদরা খতিয়ে দেখে জানিয়েছেন, সেই টাইলসগুলো ৩০০-৪০০ বছর পুরোনো। কিন্তু জেমিমা ও ইমরান দাবি করেছিলেন, ইসলামাবাদের যে দোকান থেকে কেনা হয়েছিল সেখানে তাদের নিশ্চিত করা হয়েছিল এর ঐতিহাসিক কোনো মূল্য নেই। সানডে টেলিগ্রাফে লেখা একটি আর্টিকেলে তাকে মিথ্যা অজামিনযোগ্য মামলায় অভিযুক্ত করেছিল নওয়াজ শরীফের সরকার।
সেখানে তিনি কৌতুক করে বলেন, আমি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে যাই এবং ছয়মাস পরেই সেখানে ফিরে আসি, যখন সামরিক অভ্যুত্থানে নওয়াজ সরকারের পতন ঘটে এবং আমার সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়। তার দাবি সমর্থনে সেই সময়ে ইমরান খান বলেন, তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করতে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
১৯৯৯ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয় সন্তান কাসিমকে স্বাগত জানান, ২০০৪ সালে তাদের ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে। ডন।