১২ জেলায় একক চেয়ারম্যান প্রার্থী

ডিসেম্বর ২, ২০১৬
Spread the love

আয়না ২৪ প্রতিবেদক

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ১২ জেলার প্রাথীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ‌্যে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

বিএনপি, জাতীয় পার্টির বর্জনের মধ‌্যেও ৪৯টি জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ  সমথিত চেয়ারম‌্যান প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হচ্ছে।

ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “১২টি জেলায় চেয়ারম‌্যান পদের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতা”।

ইসির উপসচিব ফরহাদ আহম্মেদ খান জানান, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, যশোর, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, ভোলা, নেত্রকোনা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম‌্যান পদে একজনই প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।। অর্থাৎ এই ১২ জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

নারায়ণঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায় ও মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন।  

ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত‌্যাহারের সময় সীমা পার হওয়ার পর যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা প্রত‌্যাহারের শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর।

জেলা পরিষদে ভোট হবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত।

এই নির্বাচনে সরাসরি ভোট হবে না। জেলাগুলোতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নিজ নিজ জেলা পরিষদের চেয়ারম‌্যান ও সদস‌্য (সাধারণ ও সংরক্ষিত) নির্বাচন করবেন।

ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান,চেয়ারম‌্যান পদে মোট ১৯০টি,সাধারন সদস‌্য পদে ৩৫৬১টি,সংরক্ষিত নারী আসনের সদস‌্য পদের জন‌্য ৮৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।।

অর্থাৎ বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা দলের নেতা কিংবা জোট শরিক দলের নেতাদের মুখোমুখি হচ্ছেন ভোটের লড়াইয়ে।

এই ভোটকে ‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়ে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি। বিএনপি জেলা পরিষদ আইন নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে। সরাসরি ভোট না হওয়ায়  তারা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেনা।