আয়না২৪ ডেস্ক
ব্রিটেনের প্রথম গর্ভবতী পুরুষ জন্ম দিলেন এক মেয়ে সন্তানের। ব্রিটেনের ২১ বছরের যুবক গর্ভবতী হওয়ার জন্য তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখেন এবং এক শুক্রানু দাতার মাধ্যমে তিনি গর্ভবতী হন। ব্রিটিশ নাগরিক হেডেন ক্রস যখন জানান তিনি গর্ভবতী, তখন সারা বিশ্বে এই খবর আলোড়ন ফেলে দেয়। মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়ে তিনি খবরের শিরোনামে হন আবারো।
হেডেন ১৬ জুন তাঁর মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন ব্রিটেনের রয়্যাল হাসপাতালে। হেডেন জন্মগতভাবে নারী হলেও গত তিন বছর ধরে তিনি আইনগতভাবে পুরুষের তকমা পেয়েছেন। নারী থেকে পুরুষ হওয়ার হরমোন চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎই তাঁকে মাঝপথে চিকিৎসা থামাতে হয় কারণ লন্ডনের স্টেট ফান্ডেড ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস ভবিষ্যতে সন্তানের জন্ম দিতে হেডেনের ডিম্বানু সংরক্ষণ করতে অস্বীকার করে। তাই হেডেন মাঝপথে তাঁর চিকিৎসা থামিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে শুক্রানু দাতা খুঁজে মা হওয়ার স্বাদ নেন। তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া মাঝপথে বন্ধ হলেও গর্ভাশয় অক্ষুণ্ন রয়েছে তাঁর।
মেয়ে সন্তানের জন্মের পর হেডেন বলেন, ‘আমার সন্তান সব দিক দিয়ে ভাল এবং সুস্থ রয়েছে। আমি খুবই ভাগ্যবান।’ সন্তান জন্ম দেওয়ার পর হেডেন তাঁর অসম্পূর্ণ চিকিৎসা খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ করবেন। ২১ বছর আগে মেয়ে হিসাবে জন্ম হয় হেডেনের। জন্মের পর তাঁর নাম ছিল পেইগি। পুরুষ হিসাবে তকমা পাওয়ার পর তিনি তাঁর নাম পরিবর্তন করেন। হেডেন বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক শুক্রানু দাতাকে খুঁজে পাই। কিন্তু তার জন্য কোনও টাকা দিতে হয়নি। এরপরেই আমি গর্ভবতী হই।’ হেডেন বর্তমানে লন্ডনের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করছে। তাঁর শিশুকন্যার বয়স এক বছর হলে হেডেন নতুন চাকরি খুঁজবে বলে জানিয়েছেন।
ব্রিটেনে লিঙ্গ পরিবর্তনের খরচ ২৯,০০০ পাউন্ড। এর আগে ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থমাস বেইটি প্রথম পুরুষ যিনি সন্তানের জন্ম দেন। জন্মগতভাবে নারী হলেও তিনি আংশিক লিঙ্গ পরিবর্তন করেন কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার জন্য নিজের গর্ভাশয় অক্ষুণ্ন রাখেন।