আয়না২৪ ডেস্ক
আজ শনিবার জাপানের গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া অঞ্চলের মানুষদের উদ্ধারে উদ্ধারকারীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। টানা প্রবল বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে দুই কূল উপচে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং জাপানের দক্ষিণ প্রান্তের চারটি প্রধান দ্বীপের অন্যতম কিউশু কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পথঘাট ভেসে গেছে এবং বাড়িঘর ও স্কুল ধ্বংস হয়েছে।
জিজি প্রেস জানিয়েছে, নিখোঁজ লোকদের সন্ধান করতে ও আটকা পড়া মানুষকে উদ্ধারে কয়েক হাজার উদ্ধারকর্মীকে ভারী কাদা ও বৃষ্টির সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। এখনো ৬শ’র বেশি লোক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জিজি প্রেস ও সরকারি সংবাদ সম্প্রচারকারী সংস্থা এনএইচকে জানিয়েছে, আরও কয়েকটি লাশ উদ্ধার করায় মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্যায় সাত জন মারা গেছে ও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায়।
বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুওকা এলাকার আসাকুরা নগরীর বাড়িঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। এখানে বুধবার রাত পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের পুরু কাদার স্তুর ও ভেজা পথঘাটের পাশাপাশি সেতু ভেঙে যাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার আসাকুরার বাসিন্দা কায়োকো ইশিবাশি বলেন, ‘আমার বাবা-মা আরও ১৬ জনের সঙ্গে এখনো কুরোগাওয়া এলাকায় আটকা পড়ে আছেন। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ’
আতঙ্কিত এই নারী আরও বলেন, ‘এখন আমি শুধু আশা করতে পারি, হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকারীরা তাদের উদ্ধার করবেন। ’ জাপানের সরকার এই উদ্ধার অভিযানে প্রায় ১২ হাজার পুলিশ, সৈন্য, দমকল কর্মী ও কোস্টগার্ড সদস্যদের মোতায়েন করেছে।