কলেজের অফিস রুমে ডেকে দুই মডেলকে গণধর্ষণ

Spread the love

অায়না২৪ প্রতিবেদন

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিস থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে সাভারের সোবাহান বাগ এলাকায় অবস্থিত লিজেন্ড কলেজের অফিস রুমে ডেকে দুই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।

নাটকে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার কথা বলে গাজীপুর থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে বৃহস্পতিবার রাতভর আটকে রেখে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ওই দুই তরুণী ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।

এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে মূল হোতা লিটন আলী ম-ল ও তার সহযোগী পলাতক রয়েছে। জানা যায়, যে ভবনটিতে লিজেন্ড কলেজের অফিস, সেটি একটি ছয়তলা বাড়ি। সেটির মালিক কবির। তিনিও পলাতক রয়েছেন।  

দুই তরুণীর দাবি, তারা মিউজিক ভিশন নামে প্রতিষ্ঠানের মিউজিক ভিডিওর মডেল, থাকেন গাজীপুরে। মাস তিনেক আগে মুঠোফোনে তাদের সঙ্গে লিটন আলী ম-লের পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে লিটন তাদের নাটকে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন। তার কথামতো বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তারা সাভার আসেন। লিটন ও তার এক সহযোগী তাদের একটি ছয়তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় লিজেন্ড কলেজের অফিস রুম নিয়ে যান। সেখানে লিটনসহ আরও দুজন ছিলেন। সেখানেই তাদের গণধর্ষণ করা হয়। রাতে তারা জানালা দিয়ে চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। লিটন ও তার সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যান। পালিয়ে যান বাড়ির মালিক কবিরও।

ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, ওই বাড়ি থেকে উদ্ধারের পর দুই তরুণী ডিবির কার্যালয়ে গিয়ে তাদের ধর্ষণের অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ছয়তলা বাড়ি থেকে মোকারম ও মিজান নামের দুই নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশের অফিসের পাশেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির ওসি এ এফ এম সায়েদ জানান, ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন দুই তরুণীর একজন। পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।

ধর্ষকদের আটক করতে ডিবি পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান এ ডিবি কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, লিটন এক সময় তাদের তথ্যদাতার কাজ করতেন। কিন্তু নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছিল। সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহবুবুর রহমান বলেন, দুই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।