আয়না২৪ ডেস্ক
রাহেল শরিফের পর পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান হলেন জাভেদ বাজওয়া। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে নতুন সেনা প্রধানের বিষয়ে নানা আলোচনা গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পাচ্ছে। আর এনিয়ে পাকিস্তান ছাড়াই পাকিস্তানের চির বৈরি ভারতেরও কম আগ্রহ নয়। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জাভেদ বাজওয়া সেনা প্রধান হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেলেও এই পদটি পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন আরো দুজন। কিন্তু কয়েকটি কারণে পাক সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনিই।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বাজওয়ার সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পেছনে সামরিক দক্ষতার পাশাপাশি তাঁর কূটনৈতিক সামর্থ্যকেও বড় করে দেখিয়েছে। নওয়াজ শরিফ এই অতি গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে এমন একজনকে চাইছিলেন যিনি সামরিক দক্ষতার পাশাপাশি ইসলামিক দেশটিতে গণতন্ত্রের সমর্থক এবং এটি সুসংহত করতে ভূমিকা রাখবেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানের প্রায় ৭০ বছরের ইতিহাসে সেনাবাহিনী প্রায় অর্ধেক সময় দেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল। সেনাশাসকদের সবাই ছিলেন দেশটির সেনাপ্রধান যাঁরা কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত।
আর তাই পাকিস্তানের যেকোনো গণতান্ত্রিক সরকারের কাছেই সঠিক সেনাপ্রধান নিয়োগ একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
জেনারেল বাজওয়াকে রসিক, বুদ্ধিমান, সহজবোধ্য এবং সেনাদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রক্ষা করতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো। এ ছাড়া তিনি প্রচারের আলোয় আসতে পছন্দ করেন না বলেও জানা গেছে।
জেনারেল বাজওয়ার এই গণতন্ত্রপন্থী পরিচয়ই নওয়াজ শরিফকে তাঁর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য ডন অনলাইনের। আগামী মঙ্গলবার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনিই হবেন পাকিস্তানের চার তারকার চারজন জেনারেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, নিয়োগের আগে কামার বাজওয়ার জীবনবৃন্তান্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একাধিক বিভাগ। সেই বিভাগগুলোর প্রতিবেদনে করাচিতে জন্ম নেওয়া এই পাঁচ তারকার প্রেসিডেন্টকে অমায়িক ও কঠোর পেশাদারি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এবং তাঁর জীবনবৃত্তান্ত স্পষ্টভাবে গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর গভীর আস্থার কথা প্রমাণ করে। এ ছাড়া কামার বাজওয়ার সামরিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাও তাঁকে এই পদে আসতে সাহায্য করছে।