ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ

Spread the love

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঝালকাঠির  রাজাপুর উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৌশলে পালিয়ে এসে নির্যাতিত ওই কলেজ ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে মাইনুল ইসলাম নামে এক যুবককে প্রধান আসামি করে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত মাইনুলের বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে।  এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মাইনুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার ওই কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজাপুরে একটি কম্পিউটারের দোকানে  ও্ই কলেজ ছাগ্রী স্নাতকে  ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে আসেন। এ সময় তাঁর পিছু নিয়ে মাইনুল  ও তার সহযোগিরা ওই দোকানে যায়। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কলেজ ছাত্রীকে  জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে বখাটে মাইনুল ও তার  কয়েক সহযোগী এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে কলেজ ছাত্রীকে   শারীরিক নির্যাতন করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এলোপাথারি কিল-ঘুষিতে তাঁর মুখমন্ডল রক্তাক্ত জখম হয়। কিছু সময় পর কলেজ ছাত্রী ওই তরুণীর  চেতনা ফিরলে নিজেকে একটি ঘরের মধ্যে দেখতে পান। পরে  কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে স্বজনদের সহযোগিতায় রাজাপুর   উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরের দিন শুক্রবার দুপুরে রাজাপুর থানায় এসে নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

কলেজ ছাত্রী জানান, তিনি রাজাপুরের একটি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পাস করেছেন। কলেজে আসা যাওয়ার সময় দীর্ঘ দিন ধরেই মাইনুল তাকে  উত্ত্যক্ত  করে আসছিল। এক পর্যায়ে  প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় মাইনুল তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত মাইনুল মুঠোফোনে বলেন, অপহরনের বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা। ওই তরুণীর সঙ্গে  আমার গত তিন বছর ধরে  প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর থানা পরিদর্শক ( তদন্ত) মো. হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় কালেজ ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের একাধিক দল অভিযুক্ত মাইনুলকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।