সৌদি আরবের আদালত এক প্রতিবন্ধী যুবকের শিরশ্ছেদের আদেশ দিয়েছে । ২০১২ সালে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মুনির আদম (২৩) নামের এই প্রতিবন্ধী যুবক। এজন্য অভিযুক্ত করে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ছোট বেলায় এক দুর্ঘটনায় দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি হারান মুনির। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর এর বিরুদ্ধে আপিল করা হলেও আদালতে তা খারিজ করে দেয়। তবে সৌদি আরবের মৃত্যুদণ্ডাদেশে সই করার আগ পর্যন্ত মুনির আরেকবার অাপিল করার সুযোগ পাবেন।
সৌদি আরবের শরিয়াহ আইন অনুযায়ী শারীরিকভাবে অক্ষম ও প্রতিবন্ধী কোনো ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অনুমতি নেই। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মুনির আদমের শারীরিক অক্ষমতার পক্ষে চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে ধরেছে।
২০১২ সালে এক বিক্ষোভে অংশ নিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গত বছর তার শিরশ্ছেদের আদেশ দেওয়া হয়। বিক্ষোভে সহিংসতার অভিযোগে সৌদি অারবের বিশেষ অপরাধ আদালতে তাঁর বিচার হয়। তবে মুনিরের সই করা স্বীকারোক্তির বাইরে আদালত অন্য কোনো প্রমাণ পায়নি। অভিযোগ উঠেছে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করে ওই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবে চলমান নির্যাতন ও বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। সম্প্রতি সৌদি আরবে সফরকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মানবাধিকার কর্মীদের ওই আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন।
মানবাধিকার সংগঠন রিপ্রাইভের পরিচালক মায়া ফোয়া ডেইলি মেইলকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে এ ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। মুনিরের মুক্তির জন্য তাদের আহ্বান জানানো উচিত। এছাড়া অন্যান্য মুক্তিকামী মানুষদের নির্যাতন বন্ধে হস্তক্ষেপ জরুরি।
তিনি অারও বলেন, সফরকালে মানবাধিকারের বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিয়ে কার্যত সৌদি আরবকে মানবাধিকার লঙ্ঘন চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন ট্রাম্প।
চলতি বছরের শুরুতে একদিনেই ৪৭ জন শিয়ার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করে সৌদি সরকার।