আয়না২৪ ডেস্ক
অ্যান্টার্কটিকার রহস্যে ভরা সেই ‘ব্লাড ফলস’ বা রক্তপ্রপাতের রহস্য উদঘাটন করার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, এটা রক্ত নয় মূলত একটা জলপ্রপাত। তবে এই প্রবাহের রঙ কেন রক্তের মতো লাল সেটা নিয়েই রয়েছে যত কৌতূহল।
তাছাড়া অ্যান্টার্কটিকার হাড় হিম করা ঠান্ডার মধ্যেও ওই জলপ্রপাত জমে না গিয়ে কীভাবে এটি তরল থাকে, সেটাও এক রহস্য‘। এই মহাদেশের ম্যাক মারডো শুষ্ক উপত্যকায় পাঁচতলা সমান উঁচু এই জলপ্রপাতটি ১৯১১ সালে আবিষ্কার করেন অস্ট্রেলিয়ার ভূতত্ত্ববিদ গ্রিফিথ টেলর।
পানির রঙ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকলেও এই জলপ্রপাতের উত্স নিয়ে কিন্তু ধোঁয়াশাই থেকে গিয়েছিল। সমপ্রতি ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা এবং কলোরাডো কলেজের এক দল গবেষক এর উত্সস্থল নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন।
এই গবেষকদের দাবি, এই জলপ্রপাতটির মূল উত্স একটি লবণাক্ত পানির হ্রদ, যেটা ৫০ লাখ বছর ধরে টেলর হিমবাহের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে। নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে বিজ্ঞানীরা রেডিও-ইকো সাউন্ডিং প্রযুক্তির সাহায্য নেন। এই প্রযুক্তির সাহায্যে হিমবাহের নীচে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে সিগন্যাল পাওয়া গেছে, তা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা হিমবাহের নীচে তরল অবস্থায় থাকা এই বিশাল হ্রদের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছেন।
প্রশ্ন উঠতে পারে. হিমবাহের নীচে কীভাবে হ্রদের পানি তরল অবস্থায় রয়েছে? হিমবাহ বিজ্ঞানী এরিন পেতিতের মতে, জমে যাওয়ার আগে পানি তাপ ছাড়ে। সেই তাপ লবনাক্ত পানিকে জমতে দেয় না। ফলে ওই তাপমাত্রাতেও পানি তরল অবস্থাতেই থেকে যাচ্ছে।
পানির রঙ লাল হওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞানীরা জানান, লৌহ সমৃদ্ধ হ্রদের পানি ভূপৃষ্ঠের উপরের অক্সিজেনের সংস্পর্শে যখনই আসছে, তখনই সেটা লাল রঙের হয়ে যাচ্ছে। -সিবিএস নিউজ