বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল জলিল (৩০) জেলার পাথরঘাটা উপজলোর শিংড়াবুনিয়া গ্রামরে বাসিন্দা ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মালতী রাণী (২২) নামে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কর্মরত মালতী রাণীকে ২০০৩ সালে বিয়ে করেন পাথরঘাটা উপজেলার শিংড়াবুনিয়া গ্রামের আবদুল জলিল। বিয়ের কিছুদিন পরে জলিল তাঁর স্ত্রী মালতীকে গ্রামের বাড়ি পাথরঘাটার শিংড়াবুনিয়া গ্রামে নিয়ে আসেন। কলহের জের ধরে ২০০৩ সালের ২৪ জুলাই মালতী রাণীকে কুপিয়ে হত্যা করার পর বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের একটি নির্জন স্থানে মাটি খুঁড়ে লাশ পুঁতে রাখেন।
এর কয়েকদিন পর দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধের কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখেন মাটির গর্তে মৃতদেহ। পরে পাথরঘাটা থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে মালতী রাণীর বাড়ি ও তাঁর পরিবারের কারো খোঁজ না পাওয়ায় এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল হক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ জলিল এবং তার বোন নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। পরে জলিল স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৪ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য-প্রমান শেষে আদালত মঙ্গলবার দুপুরে মালতী রাণীর স্বামী জলিলকে ফাঁসির আদেশ দেন।
রাষ্টে পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বরগুনার অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি আকতারুজ্জামান বাহাদুর এবং আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন তোফাজ্জেল হোসেন তালুকদার