আয়না২৪ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ লেগে গেলে উত্তর কোরিয়া ৫ লাখ নারী যোদ্ধা পাঠাবে সমরে। ইতিমধ্যে এসব নারী সেনা মহড়া সম্পন্ন করেছে। উত্তর কোরিয়ার ৮৫তম সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আয়োজিত মহড়ায় ৫ লাখ নারী সেনা সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে। অসমর্থিত খবর হলেও জানা যায়, প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন কোরিয়ার পিপলস আর্মিকে ৫ লাখ নারী সেনাকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছর উত্তর কোরিয়ার নারী সেনাদের সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে দেখা যায়। কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তর কোরিয়া বলছে, এসব নারী সেনারা সংগঠিত, যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর মোকাবেলায় যথেষ্ট সামর্থ রাখেন এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার মত সুনিপুণ দক্ষতা তাদের রয়েছে। যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে শত্রুকে ঘায়েল করার মত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসব নারী সেনাকে তৈরি করা হয়েছে যুদ্ধে সত্যিকারের ভূমিকা নেওয়ার জন্যে। তাদের আর্টিলারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কত সংখ্যক নারী সেনা উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে রয়েছে তা জানা যায়নি।
অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ এক্সপ্রেস ও দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া তাদের পাঁচ লাখ নারী সেনাকে প্রস্তুত রেখেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে এ যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের পাশাপাশি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে অনায়াসে আঘাত হানতে সক্ষম।
উত্তর কোরিয়ার সেনা সদস্য সংখ্যা ১২ লাখ এবং এর ১০ ভাগ নারী সেনা রয়েছে এমন অনুমান থাকলেও এখন বলা হচ্ছে এ অনুপাত ৪০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে। এর আগে নব্বইয়ের দশকে উত্তর কোরিয়ার দুর্ভিক্ষে সেনা সদস্যদের ব্যাপক মৃত্যু হওয়ার কারণে দেশটি নারীদের সেনা সদস্য হিসেবে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) এক খবরে বলা হয়েছে, দেশটির নেতা কিম জং-উন নারী যোদ্ধাদের মধ্যে বন্দুকের শুটিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।
কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কিম উন হঠাৎ করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। নারীদের যুদ্ধে দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য এ নির্দেশ দেন তিনি।’ কিমকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এটা বাস্তব যুদ্ধাবস্থার মধ্য কীভাবে পরিচালিত হতে হবে, তার ধারণা দিতেই এ আয়োজন।’ কিম বলেন, ‘একটি প্রকৃত যুদ্ধের জন্য অপ্রত্যাশিত প্রশিক্ষণ কোনো ব্যাপার নয়। সেনাদের এ ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য মূল্য দিতে হয়।’
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে নারী সেনার সংখ্যা কত, তা অজানা। পুরুষদের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে শতকরা কত নারী সদস্য রয়েছে, তা যাচাই করা যায়নি। ধারণা করা হয়, দেশটির সেনাবাহিনীতে নারী সদস্যদের সংখ্যা ১০ শতাংশের নিচে। বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে বলা হয়, এ সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশি হতে পারে। কমিউনিস্ট দেশটিতে ১২ লাখ সেনাসদস্য আছে। সে হিসেবে নারী সেনাসদস্য পাঁচ লাখ।
১৯৫৩ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকে দ্বন্দ্ব ও বৈরীতা বৃদ্ধি পেয়ে আসছে।