লন্ডনে ফের হামলার ‘ ষড়যন্ত্র’ বানচাল

এপ্রিল ২৯, ২০১৭
Spread the love

রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলার ‘সক্রিয় ষড়যন্ত্র’ বানচাল করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। কয়েকটি অভিযানে সন্দেহভাজন ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার জানায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার পুলিশ উত্তর লন্ডনের উইলসডেন এলাকার একটি বাড়িতে সশস্ত্র অভিযানের সময় এক তরুণীকে (২১) গুলি করে। এ ঘটনার পর থেকে যুক্তরাজ্যজুড়ে কড়া সতর্কতা বজায় রাখা রয়েছে।

ব্রিটিশ পুলিশ পৃথক ঘটনায় পার্লামেন্ট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার এক যুবককে ছুরিসহ আটক করে। তাঁর নাম খালিদ মোহাম্মদ ওমর আলি। তিনি বিদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সন্ত্রাসী ঘটনার পরিকল্পনার সন্দেহে খালিদ মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পার্লামেন্ট ভবনের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই সে এলাকায় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী আটক হলো। এর জের ধরে যুক্তরাজ্যে আবারও কড়া সতর্কতা জারি হলো।

লন্ডনে পুলিশ গতকাল সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা অতিসম্প্রতি ‘বেশি মাত্রায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের’ মুখোমুখি হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে আগামী ৮ জুন আগাম নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। তার জমজমাট প্রস্তুতির মুহূর্তে এ রকম ঘটনাকে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ স্বভাবতই বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে।

ঘটনার বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত শুরুর কথা জানিয়ে পুলিশের উপসহকারী কমিশনার নীল বসু গতকাল বলেন, ‘আমরা বেশি মাত্রার সন্ত্রাসী তৎপরতা মোকাবিলা করছি…এ বিষয়ে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রায় প্রতিদিনই গ্রেপ্তার করছি।’

গুলিবিদ্ধ সন্দেহভাজন তরুণী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

পৃথক ঘটনায় ওয়েস্টমিনস্টার এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কাছ থেকে অন্তত তিনটি ছুরিসহ খালিদ মোহাম্মদ ওমর আলিকে আটক করা হয়েছে। ২৭ বছর বয়সী খালিদকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

নীল বসু বলেন, কেন্টের একটি বাড়ি থেকে আরও পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনটি বাড়িতে গতকাল পর্যন্ত তল্লাশি করা হয়।

ছুরিসহ গ্রেপ্তার খালিদ মোহাম্মদ আগে থেকেই ব্রিটিশ গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় ছিলেন। একটি সূত্র বলছে, বিদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবারের অভিযানে গুলিবিদ্ধ তরুণী সম্পর্কে পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, নাজুক শারীরিক অবস্থার কারণে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে গত ১০ বছরে এই প্রথম পুলিশ কোনো নারীর ওপর গুলি চালাল। ২০০৭ সালে কেন্টে অ্যান স্যান্ডারসন নামের এক নারী পুলিশের গুলিতে নিহত হন।