আয়নাে২৪ ডেস্ক
উত্তর কোরিয়া নিয়ে চীন-আমেরিকা সংঘাতের আশংকা প্রবল হয়ে উঠেছে। চীনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরই উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে প্রায় দেড় লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে বেইজিং।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু আস্ফালনের জবাবে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর জবাবে শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “উত্তর কোরিয়া নিয়ে পরিস্থিতি বিস্ফোরক হয়ে রয়েছে। যেকোনও মুহুর্তে যুদ্ধ শুরু হতে পারে। তবে এই যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না। এই যুদ্ধ হলে সবাই ধ্বংসের মুখে পড়বে।”
এদিকে হোয়াইট হাউসের এক বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, পিয়ংইয়ং-এর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে আমেরিকা। যদি কিম পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেন তবে যে কোনও মুহূর্তে হামলা চালাবে আমেরিকা বলেও জানিয়েছেন ওই উপদেষ্টা। ইতিমধ্যে, কোরিয় উপসাগরে অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসন’, সাবমেরিন ও গাইডেড মিসাইল ক্রুজার পাঠিয়েছে মার্কিন নৌসেনারা। এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তর কোরিয়ার একমাত্র বন্ধুরাষ্ট্র হলো চীন। যদিও উত্তর কোরিয়া নিয়ে চীন-আমেরিকায় যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে এমনটা ভাবা হলেও সামরিক বিশেষজ্ঞেদের মত, কিমকে পরমাণু পরীক্ষা থেকে বিরত রাখবে চীন। কারণ বেইজিং চায় না আমেরিকার রোষানলে পড়ে তাদের বন্ধু কিমের সাম্রাজ্য ধংস হোক। এছাড়াও কোরিয় উপদ্বীপে মার্কিন ও ইউরোপীয় প্রভাব রুখতে কিমের গদিতে থাকা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে বেজিং।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ বার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং৷ ড়েল এক বছর ধরে সব দেশের হুমকি উপেক্ষা করে একতরফাভাবে পর পর পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটির সরকার৷