ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় একের পর এক শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও এর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজাপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্বারকলিপি দেয় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল।
সকাল ১০টা থেকে ঘন্টাব্যাপি এ কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষক ও নির্যাতিত শিক্ষকদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে সহকারী শিক্ষক সমাজের সাধারন সম্পাদক এ কে আজাদ খান বলেন, যদি শিক্ষক নির্যাতনের বিচার না পাই তাহলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। আমরা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে অভ্যস্ত। তাই রাস্তায় আন্দোলনে নামতে চাইনা। যদি বাধ্য হই তবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।
শিক্ষকেরা জানান, গত ২৬মার্চ স্বাধীনতা দিবসে উপজেলার সাতুরিয়া এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক আকনকে মারধর করে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির। এ ঘটনায় ওই প্রধান শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও স্থানীয় নেতাদের চাপে অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য হন শিক্ষক ফজলুল হক।
এর এক সপ্তাহ না যেতেই উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের পালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান গিয়াস উদ্দিনকে মারধর করে একই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বারেক হাওলাদার। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষক গিয়াস রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করলেও আদালত থেকে জামিন পায় অভিযুক্ত বারেক হাওলাদার। জামিনে এসেই আবারো ওই শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেয় বলে নির্যাতিত শিক্ষক গিয়াস সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন।
এরপর উপজেলার আংগারিয়া গ্রামের ফজিলাতুন্নেছা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. আল-আমিনকে বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর করে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও আওয়ামীলীগে নেতা জুলফিকার আলী হাওলাদার। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষক আল-আমিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন।