বিবিসি
জন এফ কেনেডি ১৯৪৫ সালের কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সদ্য শেষ হয়েছে। তরুণ সাংবাদিক হিসেবে ইউরোপ সফরে বেরিয়েছেন জন এফ কেনেডি। ওই সফরে স্বল্প সময়ের জন্য জার্মানিতে ছিলেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডি।
বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিসহ অক্ষশক্তির ধ্বংসযজ্ঞ আর হত্যালীলার নমুনা দেখেছিলেন তরুণ কেনেডি। তবে যেকোনো কারণেই হোক, দৃশ্যত হিটলারের প্রতি একধরনের মুগ্ধতা ছিল তাঁর মধ্যে। ২৮ বছর বয়স্ক কেনেডি নিজের ডায়েরিতে লিখেছেন, ‘এখন তাঁকে ঘিরে থাকা ঘৃণার দেয়াল থেকে মুক্ত হয়ে হিটলার একদিন বিশ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মানুষদের একজন হয়ে উঠতে পারেন…মানুষ যেসব বৈশিষ্ট্যের বদৌলতে কিংবদন্তি হয় তা হিটলারের মধ্যে ছিল।’
ঐতিহাসিকেরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট কেনেডির জীবনের একমাত্র ডায়েরি এটি। এর মূল কপি ২৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে নিলামে উঠবে। এটি এত দিন গচ্ছিত আছে তাঁর সিনেটর থাকার সময়কার গবেষণা সহকারী ডিয়েড্রা হেন্ডারসনের কাছে।
৬১ পাতার ওই ডায়েরি কেনেডি লেখেন হিটলার আত্মহত্যা করার মাস চারেক পর।
কেনেডি আরও লেখেন, ‘নিজের দেশের ব্যাপারে হিটলারের সীমাহীন উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল, যা তাঁকে বিশ্বশান্তির অন্তরায় করে তোলে। কিন্তু তাঁর জীবনযাপন পদ্ধতি ও মারা যাওয়ার পরিস্থিতি ঘিরে আছে রহস্য। এ রহস্য টিকে থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।’
হেন্ডারসন বলছেন, হিটলারের মধ্যে কিংবদন্তি হওয়ার গুণাবলি ছিল—এ কথার মাধ্যমে কেনেডি মূলত তাঁকে ঘিরে থাকা রহস্যকে ইঙ্গিত করেছেন, তাঁর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে নয়। ডায়েরির কোথাও নাৎসি ধ্বংসযজ্ঞের প্রতি সমর্থন, সহমর্মিতা প্রকাশ পায়নি।
নিলামে ডায়েরিটির দাম দুই লাখ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।