আয়না২৪ ডেস্ক
এশিয়া-প্রশান্ত সাগর অঞ্চলের ১৬ দেশের মধ্যে এই মুহুর্তে ঘুষ আদান-প্রদানে শীর্ষে রয়েছে ভারত। ঘুষ লেনদেন ছাড়াও নানাভাবে ভারতের ৭১ শতাংশ মানুষ দুনীর্তির সঙ্গে জড়িত। গত ৭ মার্চ বার্লিনে প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সমীক্ষাকারীদের দাবি, ভারতের প্রতি দশজনের মধ্যে সাতজনই পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও না কোনও ভাবে ঘুষ দিচ্ছেন। আর ভারতীয় পুলিশের ৮৫ শতাংশই দুর্নীতিগ্রস্থ বলে দাবি সংস্থাটির।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ধর্ম ভারতের অন্যতম একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। আর সে হাতিয়ার ব্যবহার করে প্রতি পাঁচজন ধর্মীয় নেতার মধ্যে অন্তত একজন দুর্নীতিগ্রস্ত।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশালের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পুলিশের পর দুর্নীতিতে স্থান পেয়েছে সরকারি নিম্ন শ্রেণির কর্মীরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৮৩ ভাগ মানুষ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বিজনেস এক্সিকিউটিভ শ্রেণির মধ্যে পড়েন এমন ৭৯ শতাংশ অভিযুক্ত একই অপরাধে।
এছাড়াও, সাংসদের মধ্যে ৭৬ ভাগ, স্থানীয় কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ এবং কর দপ্তরের কর্মীদের মধ্যে ৭৪ শতাংশই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত ’সংবাদ প্রতিদিন’ পত্রিকায় সমীক্ষা নির্ভর প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকেও সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে দুর্নীতির হার রয়েছে ৬৬ শতাংশ। সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ৫৯ শতাংশ দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৬ দেশের মধ্যে ঘুষ দেওয়া-নেওয়ার দুর্নীতিতে মাত্র ০.২ শতাংশের হিসাবে জাপানই সবচেয়ে পিছিয়ে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি জস ইউগাস বলেন, ‘আমাদের দুর্নীতি রোধে আরও কঠোর হওয়ার সময় এসে গেছে। সরকারকে সর্বস্তরের মানুষকে সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’