আয়না২৪ প্রতিনিধি, খুলনা
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, শ্রমিক নেতা হয়ে মন্ত্রিত্বে থাকা যাবে না এমন কোনো বিধান নেই। এর আগেও অনেকে ছিলেন। আমি যদি কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান বা এমডি হতাম তাহলে ওই পদ থেকে আমাকে পদত্যাগ করতে হতো। কোনো শ্রমিক সংগঠন থেকে যদি পদত্যাগ করতে হয় তাহলে তো রাজনৈতিক দল থেকেও পদত্যাগ করতে হতো।গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে গ্রাম পুলিশের খুলনা বিভাগীয় সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি শ্রমিক নেতা। আমার বাড়িতে তো বৈঠক হতেই পারে। ৪৬ বছর ট্রেড ইউনিয়ন করি, আমি কি পারব শ্রমিকদের সমস্যাগুলো এড়িয়ে যেতে? তা সম্ভব নয়। যখনই শ্রমিক সেক্টরে কোনো সমস্যা হয়েছে, তখনই প্রধানমন্ত্রী আমাকে তা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি মনে করি, আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আইনের দিক থেকে যেটা করণীয় আমরা সেটা করব এবং আশা করি আদালত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবেন। যারা এগুলো নিয়ে কথা বলছেন, তারা যেন বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে কথা বলেন। তিনি এ বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানান।
গ্রামপুলিশের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ গ্রামপুলিশ সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, সাবেক পুলিশ সুপার মাহবুব উদ্দিন, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্ল্লাহ এবং সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন।
বক্তৃতা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক শাহজাহান কবির জহির, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন খান এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমান্ডার মোস্তফা কামাল।
সম্মেলনে নৌমন্ত্রী বলেন, গ্রামপুলিশ সদস্যদের মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। মাদক যুবসমাজের জীবনীশক্তি ধ্বংস করছে। যুবসমাজসহ আমাদের সবাইকে মাদক, জঙ্গি, বাল্যবিয়ে ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
গ্রামপুলিশদের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষাপটে মন্ত্রী বলেন, এগুলো প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
পরে বিকেলে মন্ত্রী খুলনা সার্কিট হাউসে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপদেষ্টা কমিটির ১৩তম সভায় যোগদান করেন।