আয়না২৪ প্রতিনিধি বরিশাল, বরগুনা
বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা মহাসড়কে আজ বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। মহাসড়কে মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের অবৈধ চলাচল বন্ধসহ আটক বাসশ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ এই ধর্মঘট ডাকে।
বাস ধর্মঘটের কারণে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটক, শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আজ সকালে বরিশাল নগরের রূপাতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাউফল, দশমিনা, পটুয়খালী, কুয়াকাটা, বরগুনা, আমতলী, নিয়ামতি ও বাকেরগঞ্জ এসব পথে বাস চলাচল করছেনা। এতে এসব পথের অসংখ্য যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। জরুরী কাজে অনেক যাত্রীকে বিকল্প পথে ও যানে ভোগান্তি নিয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।
পটুয়াখালী শহরের চৌরাস্তা এলাকার বাস টার্মিনালসংলগ্ন মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বাসশ্রমিকেরা মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রী নিয়ে আসা নৈশ কোচগুলোকে পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন মহাসড়কেই আটকে দিয়ে বাসগুলো টার্মিনালে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। লঞ্চযোগে আসা যাত্রীরা বাস টার্মিনালে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
বাসমালিকেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই মহাসড়কে মহেন্দ্র, ইজিবাইক, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল অবৈধভাবে চলাচল করছে। এ নিয়ে বাসমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে অবৈধভাবে চলাচলকারী যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকদের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর চৌরাস্তা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ছাড়া শ্রমিকদের দুই পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ১৭ জনকে আটক করেছে এবং ৫৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন বলেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি বরগুনা জেলার অমতলী উপজেলা সদরের চৌরাস্তা মোড়ে মাহেন্দ্র চালকদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষে ২৩ জন আহত হয়। এছাড়া গত মঙ্গলবার রাতে আমতলীতে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ১৭ বাস শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব শ্রমিকদের মুক্তি ও মাহেন্দ্র চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট আহবান করা হয়েছে।