ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে ঠিক কী মনে করেন সোলাঙ্কি? কেমন কাটত তার ছেলেবেলার ভ্যালেন্টাইন্স ডে? এখনই বা কেমন কাটে তার?
সোলাঙ্কি রায়ের কাছে প্রশ্ন ছিল, ঠিক কীভাবে সেলিব্রেট করেন তিনি প্রেমদিবস। ছোটবেলায় কেমন কাটাত এই দিনটা? জবাবে কলকাতার এই টেলি-তারকা বলেন, ‘স্কুলজীবনে ভ্যালেন্টাইন্স ডে, সরস্বতী পুজো- এসব নিয়ে একটা বাড়তি উৎসাহ থাকত। এখন আর কাজের চাপে আলাদা করে দিনগুলো সেলিব্রেট করা হয়ে ওঠে না। এবারেও তো ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে শ্যুটিং রয়েছে।’
কাউকে ভালবাসার জন্য আলাদা করে কোনও দিনের দরকার পড়ে না বলেই মনে করেন সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, ‘প্রেম দিবস কেবল ভালবাসার মানুষটাকে নতুন করে বোঝানোর সুযোগ করে দেয় যে, পাশে আছি। একটা দিন ভালবাসার জন্য উৎসর্গ করা, এর বেশি কিছুই নয়। ছোটখাটো গিফট, ফুল দেওয়া-নেওয়া, নিজেদের মতো করে দিনটা কাটানো- এইসবের মধ্যেই মজা লুকিয়ে থাকে’।
বরং প্রেম দিবস শুনলে ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে কিন্তু মাথায় আসে সরস্বতী পুজোর কথা। সোলাঙ্কি মনে করেন, বাঙালির প্রেম দিবস ওইটাই। ‘বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ানো থেকে শুরু করে স্কুল-জীবনের সেই নস্টালজিয়া এখন খুব মিস করি। এই তো কদিন আগে সরস্বতী পুজো গেল। সেদিনও আমার কাজ ছিল। কাজের ফাঁকে ফাঁকেই স্কুলের কথা মনে পড়ছিল’- বলেন সোলাঙ্কি।
কিন্তু স্কুলজীবনে ঠিক কী হতো ১৪ ফেব্রুয়ারিতে? সোলাঙ্কি বলেন, ‘একটা উন্মাদনা থাকত। অনেক প্রস্তাব পেয়েছি ওইদিনে। তবে একটা কথা ভাবলে খারাপ লাগে! যত দিন যাচ্ছে, প্রেম দিবস ব্যাপারটা তত যেন লোক দেখানো হয়ে পড়ছে। ছোটখাটো গিফট, সেলিব্রেশন এখন আর চট করে আনন্দ দিতে পারছে না মানুষকে। চারপাশে দেখলে আমার এমনটাই মনে হয়। এর জন্যই প্রেম দিবসের উপহার থেকে শুরু করে সেলিব্রেশনের আদব-কায়দা, সর্বত্র একটা ঝাঁ চকচকে ব্যাপার চলে আসছে। আগে সম্ভবত এটা ছিল না।’