আয়না২৪ প্রতিনিধি, বরগুনা
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের দরপত্রের লটারির অনুষ্ঠানে সময় হামলায় যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম মাথা ফেটে আহত হওয়ার ঘটনায় বেতাগী পৌরসভার মেয়র,উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার আদালতে মামলাটি করেন যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামের বাবা জহিরুল ইসলাম।
আদালতের বিচারক মো.মাসুম বিল্লাহ মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবির, বেতাগীর পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, মো.পিন্টু, পৌর আ.লীগের সভাপতি বাবুল আকতার,নজরুল ইসলাম,সুজন শিকদার, মো.রাজিব, মো.মহসিন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, বেতাগী উপজেলায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের দরপত্র বিক্রি করলে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম দরপত্র ফরম ক্রয় করে তাতে অংশগ্রহন করেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে ছিল এসব কাজের ঠিকাদার নিয়োগের জন্য নির্ধারিত দিন। সেখানে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য ঠিকাদাররা সেখানে গেলে সকল আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লোহার রড,রামদা ছেনা নিয়ে সেখানে হামলা চালায় এসময় আসামী বাবুল আকতার খুনের উদ্দেশ্য জাহিদুলকে লোহার রড দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে পিটান দেয়। এতে জাহিদুলের মাথা ফেটে গেলে সে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় তাঁর গলা থেকে আসামি পিন্টু স্বর্নের চেইন এবং আসামি সুজন সিকদার পকেটে থাকা দামি মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে অন্যান্য ঠিকাদাররা জাহিদুলকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে বেতাগীর পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম গোলাম কবির বলেন, মামলার কথা শুনেছি। আমি বরিশালে একটি সভায় আছি। এনিয়ে পরে কথা বলব।