আমতলীতে ১৪৪ ধারা জারি

জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদক

বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানস্থলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ একই সময়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা আহ্বান করায় শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানান, গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের মাঠে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করায় তা পণ্ড হয়ে যায়।

আমতলী থানার পুলিশ সূত্র জানায়, চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গতকাল বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান এবং কুকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আহ্বান করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বিদ্যালয়ের মাঠ ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, শিক্ষার্থীদের বরণ এবং ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বুধবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের মাঠে এই অনুষ্ঠান করার জন্য কয়েক দিন আগেই সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আকস্মিকভাবে একই স্থানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার ঘোষণা করে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‌ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান পণ্ড করার জন্য আকস্মিক ওই সভা আহ্বান করেন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের জন্য কয়েক দিন আগেই তারিখ নির্ধারণ করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া ও প্রচার চালানো হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ আকস্মিকভাবে দুই দিন আগে একই স্থানে এই সভার ডাক দেয়। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও প্রতিহিংসাপরায়ণবশত করা হয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে কুকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, ‌‘কয়েক দিন আগেই আমরা ওই বিদ্যালয়ের মাঠে বুধবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করার ঘোষণা দিই। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আলোচনা সভা ভন্ডুল করতেই পাল্টা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।’