আয়না২৪ ডেস্ক
চিকিৎসকরা ডিম খাওয়ার বিষয়ে নানা সময়েই একাধিক বাধা নিষেধ আরোপ করে থাকেন। বলা হয়, যাদের একটু বয়স বেশি, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল অথবা হৃদরোগের ঝুঁকি আছে তাদের ডিম কম খাওয়া উচিত। আর ডিমের লাল অংশ তো একেবারেই মানা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম, চিংড়িমাছ এবং অন্যান্য এনিমেল ফুডে রক্তের কোলেস্টেরলের ওপর সামান্যই বা মার্জিত মাত্রায় প্রভাব রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এখন ডিমকে বাদের তালিকায় রাখতে চাইছেন না। কারণ একটি ডিমে রয়েছে মাত্র ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল।
আমেরিকান ফেডারেল গভর্নমেন্ট দেশের নাগরিকদের যে খাদ্যভ্যাস রাখতে বলেছেন, তাতে বলা হয়েছে, ডিমের সাদা অংশ খেলে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না। এ ব্যাপারে হারভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর পুষ্টি ও এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক অথার ড. ফ্রাংক হু উল্লেখ করেছেন, খাবার থেকে যে কোলেস্টেরল আসে অর্থাৎ ডায়েটরি কোলেস্টেরল তা কিছুটা ক্ষতিকর। কিন্তু কোলেস্টেরলে যে প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, রাইবোফ্লভিন, ফলেট ও ভিটামিন ডি রয়েছে, তা এসব কোলেস্টেরল বৃদ্ধির প্রভাবকে কমিয়ে দেয়। ডিম ক্ষতিকর প্রসেসড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংসের ভালো বিকল্প হতে পারে। সকালের খাবারে একটি ডিম কোলেস্টেরল প্রোফাইলের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না।