• Home  / 
  • জাতীয়  / 

জেলা পরিষদ নির্বাচনঃ আ.লীগ ২৫, বিদ্রোহী ১৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জয়

ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদন

দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল গতকাল। সকাল নয়টায় শুরু হয়ে বেলা দুইটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়। বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ৪৬ জন জয়ী হয়েছেন। অবশ্য তাঁদের ২১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হন। আর ১৩ জেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। পরে কিছুটা বিরতি দিয়ে গণনা করা হয়। এরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি বাদে ৬১ জেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জেলায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় তাঁরা বিনাভোটে নির্বাচিত হয়ে আছেন। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী। এর বাইরে গতকাল ৩৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ করা হয়। সাধারণ সদস্যপদে ১৩৯ জন ও সংরক্ষিত সদস্যপদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

 বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচত ২২ জনঃ  যে ২২ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা হলেন নারায়ণগঞ্জে আনোয়ার হোসেন, গাজীপুর মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইয়াশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আবদুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ বদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আবদুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দীন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বী, কুষ্টিয়ায় রবিউল ইসলাম, ঝালকাঠীতে সরদার মো. শাহ আলম, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মো. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে মোহাম্মদ আবদুস সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা।

আওয়ামী লীগের নির্বাচিত যাঁরা: বরিশালে মো. মইদুল ইসলাম, বরগুনায় মো. দেলোয়ার হোসেন, লালমনিরহাটে মো. মতিয়ার রহমান, রাজবাড়ীতে ফকীর আবদুল জব্বার, চাঁদপুরে ওচমান গনি পাটোয়ারী, ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, পাবনায় রেজাউল রহিম, গোপালগঞ্জে চৌধুরী ইমদাদুল হক, মাদারীপুরে মিয়াজ উদ্দীন, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান, মাগুরায় পঙ্কজ কুন্ডু, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মঈনুদ্দীন মণ্ডল, মৌলভীবাজারে আজিজুর রহমান, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ, রংপুরে ছাফিয়া খানম, পটুয়াখালীতে খান মোশাররফ হোসেন, নরসিংদীতে আসাদুজ্জামান, নোয়াখালীতে এ বি এম জাফর উল্যাহ্, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দিন, সিলেটে লুৎফুর রহমান, কুড়িগ্রামে মো. জাফর আলী, কুমিল্লায় আবু তাহের ও লক্ষ্মীপুরে মো. শামছুল ইসলাম।

বিজয়ী বিদ্রোহীরা: মেহেরপুরে গোলাম রসুল, নড়াইলে মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পিরোজপুরে মহিউদ্দিন মহারাজ, চুয়াডাঙ্গায় শেখ শামসুল আবেদীন খোকন, সুনামগঞ্জে নুরুল হুদা মুকুট, নীলফামারীতে জয়নাল আবেদীন, গাইবান্ধায় আতাউর রহমান সরকার, পঞ্চগড়ে মো. আমানুল্লাহ বাচ্চু, সাতক্ষীরায় নজরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শফিকুল আলম, জামালপুরে ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, শেরপুরে হুমায়ুন কবীর রোমান ও রাজশাহীতে মোহাম্মদ আলী সরকার।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরাঃ ঢাকায় মাহবুবুর রহমান, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, হবিগঞ্জে মুশফিক হোসেন চৌধুরী, ফরিদপুরে লোকমান হোসেন মৃধা, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, গাজীপুরে আখতারুজ্জামান, ফেনীতে আজিজ আহম্মদ চৌধুরী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, চট্টগ্রামে এম এ সালাম, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, নারায়ণগঞ্জে আনোয়ার হোসেন, মুন্সিগঞ্জে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নওগাঁয় ফজলে রাব্বী, ঠাকুরগাঁওয়ে মু. সাদেক কুরাইশী, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঝালকাঠিতে সরদার মো. শাহ আলম ও ভোলায় আবদুল মোমিন টুলু।