ঘন কুয়াশার কারণে শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌপথে ৮ ঘণ্টা ফেরিসহ সব নৌযান বন্ধ ছিল। এ দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে সাত ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে উভয় নৌপথে কয়েক শ’ যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
গত রবিবার রাত একটা থেকে্ আজ সকাল পর্যন্ত পুরো নৌরুট ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়লে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ দিকে ঘন কুয়াশায় নৌপথে ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কাল রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীবাহী প্রাইভেট কার, মাইক্রো, বাস ও দেড় শ’ মালবাহী ট্রাকসহ দুই শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকে।
অন্য দিকে ঘন কুয়াশার মধ্যে ফুললোড অবস্থায় দুই শতাধিক যানবাহন ও বিপুল যাত্রীসহ মাঝনদীতে নোঙরে থাকে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, আমানত শাহ, শাহ পরান, কুসুমকলি, লেংটিং, টাপলো, রায়পুরাসহ সাতটি ফেরি। এ সময় যানবাহন ও যাত্রীসহ শিমুলিয়া ঘাটে রামশ্রী, রানীক্ষেতসহ দু’টি ফেরি ও একই অবস্থায় কাওরাকান্দি ঘাটের পন্টুনে রো রো ফেরি শাহ আলী, কাকলি, যমুনাসহ আরো তিনটি ফেরি ভেড়ানো থাকে।
এ সময় মধ্য নদীতে থাকা ফেরি যাত্রীসহ ফেরিঘাটে আটকে পড়া যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। একপর্যায়ে কুয়াশা কেটে গেলে সকালে আবার শিমুলিয়া থেকে নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার (বাণিজ্য) শেখর চন্দ্র রায় ও গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, রবিবার রাত একটা থেকে নৌপথে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ঘন কুয়াশা বেষ্টিত থাকায় ফেরি চালচল সকাল পর্যন্ত নৌরুটের ১ ফুট অদূরেও দিক-মার্কা ও সিগন্যাল বিকন বাতি নির্ণয় করতে পারছিলেন না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ঘন কুয়াশায় রবিবার রাত দুইটা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় দুই পারে মাইক্রো, প্রাইভেটকার, বাস-ট্রাকসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। ফেরিতে আটকা পড়া ঢাকা-খুলনাগামী যানবাহনে থাকা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দৌলতদিয়া ঘাট বিআইডব্লিউটিসি ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম মো: খোরশেদ আলম জানান, ঘন কুয়াশায় রাত দুইটা থেকে ফেরি চালাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মাঝ নদীতে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ভাষা শহীদ বরকত, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর, শাহ জালাল, বনলতা, রজনীগন্ধা, হাসনাহেনা, কপোতি, কেরামত নামে আটটি ফেরি আটকা পড়ে।
গভীর রাতে ফেরি বন্ধ হওয়ায় ফেরি পারাপারে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ সকালে ফেরি চালু হয়ে যানবাহন পারাপার শুরু হলেও ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি সূত্র আরো জানায়, ১৬টি ফেরি এ রুটে নিয়মিত চলাচল করছে। কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় অনেকটা যানজটের সৃষ্টি হয়।