আয়না২৪ ডেস্ক
সুগন্ধিযুক্ত এলাচকে মসলার রানি বলা হয়। খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়াতে এ মসলার ভূমিকা অপরিসীম। শীতে পায়েস, সেমাই, কুলিপিঠাসহ বিভিন্ন মিষ্টি- মিঠাইয়ে এ মসলা ব্যবহার করা হয়।রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারী গুণ। বিশেষ করে এলাচির ভেষজ গুণ শরীরে নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
এতে থাকে ভিটামিন সি, যা রক্তসঞ্চালন ও ত্বক সমস্যা সমাধান করে। অনেকে মনে করেন সকালে খালি পেটে এলাচের পানি পান হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। এছাড়া এক চিমটি এলাচ গুঁড়া রক্তস্বল্পতা দূর করে দুর্বলতা কমিয়ে আপনার শক্তি বাড়াতে পারে।
তাহলে আসুন জেনে নিই এলাচে আর কী কী উপকারীতা রয়েছে :
রক্তস্বল্পতা দূর করে : এক বা দুই চিমটি এলাচ গুঁড়া এবং হলুদ গুঁড়া এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরসঙ্গে অল্প পরিমাণে চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতি রাতে এটি পান করুন। এটি রক্তস্বল্পতা দূর করে দুর্বলতা কমিয়ে শক্তি বাড়ায়।
এলাচে রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন সি, নিয়াচিন আয়রন, কপার রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি : ২টি এলাচ, ১টি ছোট আদার টুকরো, ২-৩ টি লং এবং কয়েকটি ধনিয়া একসঙ্গে গুঁড়া করে নিন। এটি গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে গ্যাস, বমিভাব দূর করে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে : খাবার খাওয়ার পর এক টুকরো এলাচ কিছুক্ষণ চিবিয়ে নিন অথবা এলাচ চা পান করুন প্রতি দিন সকালে। এটি আপনার পাচনতন্ত্র শক্তিশালী করে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
হেচঁকি কমায় : ঘন ঘন হেঁচকি সমস্যায় হলে এলাচি খাওয়া শুরু করুন। এটি আপনার পেশি রিল্যাক্স করে হেঁচকি দূর করে।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর : এলাচি একটি ভেষজ উপাদান। এটি শরীরে অভ্যন্তরীণ ফাঙ্গাস, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
হার্ট সুস্থ রাখে : প্রতিদিনের খাবারে এলাচ যুক্ত করুন অথবা এলাচ চা পান করুন। এটি আপনার হার্ট সুস্থ রাখার পাশাপাশি হার্টবিট নিয়মিত রাখবে।
অ্যাসিডিটি কমায় : সমপরিমাণে এলাচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, মৌরি একটি প্যানে ভেঁজে গুঁড়া করে নিন। এক কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ এই গুঁড়া মিশিয়ে নিন এবং পান করুন। এটি অ্যাসিডিটি , পেটের গ্যাস এবং পেট ফাঁপা রোধ করে।