আয়না২৪ ডেস্ক
পবিত্র রমজান মাসে অনেকের মুখেই দুর্গন্ধ হয়৷ দাঁতেরও নানা রকমের সমস্যা হয়৷ তবে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চললে এ সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন রমজান মাসে মুখের দুর্গন্ধ এড়ানোর এবং দাঁত ঠিক রাখার কিছু উপায়৷
প্র্র্রতিদিন দুই বার দাঁত ব্রাশ করুন: রমজান মাসে সেহেরির পর থেকে রোজদার মুসলমানরা ইফতার পর্যন্ত, অর্থাৎ ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু খান না৷ ফলে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা পচে যাতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি না করে সেজন্য সেহেরির পরে দাঁত ব্রাশ করেই ঘুমানো উচিত৷ আবার ইফতারের পরও একবার দাঁত ব্রাশ করে নেওয়া ভালো৷
মিষ্টি খেলে: ইফতার এবং সেহেরির সময় জিলাপি, রসগোল্লা বা রসমালাইয়ের মতো কোনো মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খান? মিষ্টি খাওয়ার পরে কিন্তু দাঁত ব্রাশ করতেই হবে, কেননা,মিষ্টিতে যে শর্করা জাতীয় উপাদান থাকে তা দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে৷
পেটের সমস্যা থাকলে: রোজার সময় অ্যাসিডিটি বা গ্যাসট্রিকের সমস্যা থাকলেও অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে৷ এমন হলে পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে৷ পেটের সমস্যা ছাড়া, নাক, কান বা গলায় প্রদাহের কারণেও দুর্গন্ধ হতে পারে, সেক্ষেত্রে নাক-কান-গলা অর্থাৎ ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷
জিহ্বায় প্রদাহ হলে: অনেক সময় কারো কারো জিহ্বার উপরে খাদ্যের প্রলেপ জমে যায়৷ একসময় সেখানে জীবাণু হয়৷ এর ফলে প্রদাহ থেকে ভলাটাইল সালফার কম্পাউন্ড তৈরি হয় এবং মুখে দুর্গন্ধ হয়৷ এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন দু’বেলা দাঁত ব্রাশ করার আগে টাং স্ক্র্যাপার বা জিবছোলা দিয়ে জিব পরিষ্কার করুন৷
পেঁয়াজ-রসুন কম খাওয়াই ভালো: ইফতারে ভাজাপোড়া খেলে সঙ্গে পিঁয়াজ, রসুনও বেশি খাওয়া হয়৷ ভাজাপোড়া বা পেঁয়াজ-রসুন কম খেয়ে টাটকা ফল বা সালাদ বেশি খেলে ভালো হবে৷ বিশেষ করে পিঁয়াজ-রসুনের কারণে মুখে যে বাড়তি দুর্গন্ধ হয় তা থেকে বাঁচতে পারবেন৷ পিঁয়াজ-রসুন খেলে সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করে নিন৷
কুলকুচি করুন: সেহেরির পরে দাঁত ব্রাশ করার আগে কুলকুচি করে নিয়ে ‘ডেন্টাল ফ্লস’ দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা বের যতটা সম্ভব বের করে দিন৷ তারপর ক্লোরহেক্সিডিন জাতীয় মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ কুলকুচি করুন৷
মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে: রোজার সময় অনেকের দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে৷ ভিটামিন স্বল্পতার কারণে এমনটি বেশি হয়৷ মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে ইফতারিতে বেশি করে লেবুর সরবত, জাম্বুরা,কমলালেবু, কামরাঙ্গা, আমড়া, মাল্টা, আমলকি, আনারসের মতো ফল এবং গাজর, শশা, টমেটো, লেটুস পাতা ইত্যাদি খান৷