আয়না২৪ সংবাদদাতা
মুখের দুর্গন্ধের মতো বিব্রতকর আর খারাপ জিনিস হয় না! মুখের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে মাউথওয়াশ, স্প্রে, কখনো নানা ধরনের মসলার ব্যবহার খুবই প্রচলিত। একটি সুন্দর চেহারা, আর মুখে দুর্গন্ধ- ভাবুন তো বিষয়টি কেমন!
দাঁতের প্লাক, দাঁতের ক্ষয়, শরীরে পানির অভাব, পেঁয়াজ খাওয়া-ইত্যাদি মুখে গন্ধ তৈরির জন্য দায়ী হয়ে থাকে। তবে কিছু বিষয় পালন করলে দুর্গন্ধকে দূর করা যায় সহজে।
আসুন জেনে নেই মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারন এবং কি কি নিয়ম মেনে চললে এই মুখের দুর্গন্ধ থেকে এড়ানো যাবে।
কারন
মুখের দুর্গন্ধ দু’রকমের হতে পারে। স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী।
প্রতিদিনের খাবারের অংশ অনেক সময় দাঁতের মধ্যে আটকে থাকে। পরে লালার মধ্যে থাকা জীবাণু ওই জমে থাকা খাবারের সঙ্গে ক্রিয়া করে মাড়ি ও দাঁতকে সংক্রামিত করে তোলে। ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকোলেট, লজেন্স খাওয়ার পর মুখ না ধুলে মুখে জীবাণুর সংক্রমণ হয়। ফলে কিছুক্ষণ পর থেকেই মুখে দুর্গন্ধ হতে থাকে। নিয়মিত এবং ঠিকভাবে দাঁত না মাজলে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় যা মাড়িকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দাঁত ও মাড়ির মাঝে ফুটো করে দেয়। এর থেকে মুখে গন্ধ হয়।
মুখের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের উপায়
# যাঁরা মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে ভুগছেন, তাঁদের উচিত প্রতিবার খাবারের পর ভালোভাবে কুলকুচি করা। এতে মুখের ভেতরের জমে থাকা খাদ্যকণা বের হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর কোনো সুযোগ পাবে না।
# ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, পেয়ারা, আমলকী খান। রোজের মেনুতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের পরিমাণ যথাযথ পরিমাণে রাখুন। সহজপাচ্য খাবার খান। এতে বদহজম হয়ে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
# দাঁত মাজার ঠিক পরামর্শ নিন। অনেক সময় দিনে দু’-তিনবার ব্রাশ করলেও আদৌ কোনও লাভ হয় না। কারণ ঠিক পদ্ধতিতে দাঁত মাজা হয় না। তাই বছরে অন্তত একবার দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
# নিকোটিন হচ্ছে সবচেয়ে বড় শত্রু। দাঁত ও জিহ্বায় এই নিকোটিন জমে। ধূমপান মুখগহ্বরকে অধিক পরিমাণে শুষ্ক করে তোলে, এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালাও তৈরি হয় না। তা ছাড়া পান, সুপারি, জর্দা ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।
# দাঁত ও মাড়ির পরিচর্যা ঠিকভাবে করে করুন। বছরে অন্তত একবার স্কেলিং করে দাঁত পরিষ্কার করা উচিত। এতে দাঁতের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে এবং মুখে কোনওরকম দুর্গন্ধ হবে না।