আয়না২৪ ডেস্ক
বাংলাদেশের ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। প্রতিমাসে লাখ খানেক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস মূর্তিমান বিভীষিকার মতো ভয় ছড়িয়ে দিচ্ছে। ওষুধপত্র ছাড়াও প্রাকৃতিক উপাদান থেকেও ডায়াবেটিস নিরাময়ের বা একে নিয়ন্ত্রণের পথ খোঁজে মানুষ। ডায়াবেটিসের চিকিৎসার কাজটি আপনি নিজেই বাড়িতেই সারতে পারেন। এখানে বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন কিছু আয়ুর্বেদিক উপায়ের কথা।
১. প্রতিদিন এক লিটার দারুচিনির পানি পান করুন। দারুচিনিতে রয়েছে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। দারুচিনির গুড়া ৩ চামচ নিন এক লিটার পানিতে। গরম পানিতে নেবেন এবং একে ২০ মিনিট ঠাণ্ডা করুন। সারাদিনে এটা পান করুন।
২. অনেকেই জানেন না মধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উপায়। দীর্ঘদিন মধু খেলে বিপাকক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। এতে টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীরা দারুণ উপকার পান। ২০১০ সালের এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়।
৩. রসুনে রয়েছে অ্যালিয়াম স্যাটিভাম। প্রতিদিন সকালে রসুন খেলে রক্তে চিনির মাত্রা কমে আসে। মনে রাখবেন, খালি পাকস্থলীকে রসুন খেলে তা বেশি কার্যকর হয়।
৪. কারি গাছের পাতা ডায়াবেটিসের জন্য দারুণ উপকারী। প্রতিদিন দুই বার কয়েকটি কারি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। এই গাছটি সাধারণত ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হয়।
৫. পেয়ারার পাতা ও জিরা কিন্তু ডায়াবেটিসের জন্য দারুণ উপকারী। কয়েকটি পেয়ারার পাতা ও তিন গ্রাম জিরা একসঙ্গে ছেঁচে নিন। এই মিশ্রণ এক গ্লাস পরিমাণ পানিতে ফোটাতে থাকুন। এক গ্লাস পানি অর্ধেক পরিমাণ হয়ে এলে এটা ঠাণ্ডা করে খেয়ে ফেলুন।
৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পানিও দারুণ উপকারী। তবে আয়ুর্বেদের নিয়ম অনুযায়ী তা খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৮ গ্লাস পানি খেতে হবে। এবার ভরপেট পানি নিয়ে এক ঘণ্টা হেঁটে আসুন।
৭. এক হার্বাল উদ্ভিদ স্টেভিয়া। এটি মেথি নামেই পরিচিত। এর পাতা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বেশ কার্যকর। ২০১১ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, এতে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান।
৮. ওপরের সব উপায় ছাড়াও আরেক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা হয়। গ্রহণ করতে হবে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক মেডিসিনাল উদ্ভিদ। গিলয়, গার্মার, বিটরুট, মোথি, ঘৃত কুমারী, নিম, তুলসী এবং আনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জাদুর মতো কাজ করে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া