এই খাবারগুলো বেশি খেলেও ক্ষতি হবে না

Spread the love

আয়না২৪ স্বাস্থ্য

আপনি কি জানেন এমন কিছু খাদ্য আছে যেগুলো আপনি যত ইচ্ছা খেতে পারেন কিন্তু এর ফলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা হবে না? এই খাবারগুলোর বেশিরভাগই মূলত পানি দিয়ে তৈরি। আর এগুলোতে ক্যালোরি খুবই কম থাকে এবং আঁশ বেশি থাকে। এসব খাবার আপনাকে লম্বা সময় ধরে ক্ষুধামুক্ত রাখবে ফলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো কী…

১. সেলারি

পার্সলে পরিবারের এই শাকজাতীয় খাদ্যটির ৯৫ শতাংশই পানি। কিন্তু এর রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ফোলেট, ফাইবার এবং প্রতিদিন আপনার যতটুকু পরিমাণ ভিটামিন কে দরকার তার ৩০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করবে।

২. ব্লুবেরি

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া এটি ফাইবার বা খাদ্য আঁশে পরিপূর্ণ এবং এতে ক্যালোরি খুবই কম। সুতরাং এটি বেশি খেলেও ওজন বাড়ার কোনো ঝুঁকি নেই।

৩. শসা

শসাতেও আছে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং এতে ক্যালোরিও খুব কম থাকে। এর চামড়া এবং বীজে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি উপাদান থাকে। এর খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য আঁশ এবং বিটা ক্যারোটিনের রুপে ভিটামিন এ। যা চোখের জন্য খুবই উপকারি।

৪. টমোটো

টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইসোপেন। এটি এমন একটি ক্যারোটেননোয়েড যা দীর্ঘমেয়াদি রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে সহায়তা করে। আর টমেটোর লাল রঙেরও কারণ এই লাইসোপেন। এছাড়া টমেটোতে রয়েছে প্রুচর পরিমানে ভিটামিন এ, সি এবং বি২ এবং ফোলেট, পটাশিয়াম ও ফাইবার।

৫. জাম্বুরা বা মোসাম্বি লেবু

এতে আছে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য আঁশ। যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রেখে ক্ষুধা কমায় এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন সি নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে।

৬. ব্রোকোলি

কাঁচা বা সেদ্ধ করে খেলে ব্রোকোলি সবচেয়ে পুষ্টিকর। এই সবজিতে আছে সালফোরাফেন; এটি একটি ক্যান্সাররোধী উপাদান। যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসয়নিক ধ্বংসে কাজ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে।

৭. কলিফ্লাওয়ার

এটি একটি বহুমুখি কর্মশক্তি সম্পন্ন এবং পুষ্টিকর সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিকেল যা দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, ফাইবার এবং ভিটামিন সি ও কে।

৮. কমলা

কমলাতে শুধু ভিটামিন সি নয় বরং প্রচুর পরিমাণে আঁশও আছে। যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল প্রতিরোধে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক।

এছাড়া আরো যেসব খাবার বেশি পরিমাণে খেলে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই সেগুলো হলো- স্ট্রবেরি, মধু শিশির তরমুজ, লেটুস, কালো জাম, পাতাকপি এবং ফুটি বা খরমুজ।