কিংবদন্তি শিল্পী লাকী আখন্দ চলে গেলেন না ফেরার দেশে

এপ্রিল ২২, ২০১৭
Spread the love
আয়না২৪ প্রতিবেদক
বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ আর নেই। (ইন্না……রাজিউন)। টানা আড়াই মাস হাসপাতাল জীবন শেষে গত সপ্তাহে আরমানিটোলার নিজ বাসায় ফিরেছিলেন এই শিল্পী । গত কিছুদিন ভালোই ছিলেন। 
 
তবে আজ শুক্রবার দুপুরের পর তার শরীরের অবনতি ঘটে। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছটার দিকে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান বলে জানা গেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১। 

পারিবারিক সূত্র জানায়, ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত শিল্পীর শারীরিক অবস্থা আরও গুরুতর হলে আজ সন্ধ্যায় আরমানিটোলার বাসা থেকে তাঁকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করেন।

কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছিলেন।মুক্তিযোদ্ধা এই শিল্পীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকেও সহায়তা করা হয়েছিল। লাকী আখান্দের জন্ম ১৯৫৫ সালে, পুরান ঢাকায়।

ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্রে জানা যায়, মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন।

১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগ দেন লাকী আখান্দ।১৯৮৭ সালে ছোট ভাই শিল্পী হ্যাপী আখান্দের মৃত্যুর পরপর সংগীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছানির্বাসন নেন এই শিল্পী।

লাকী আখন্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে— ‘এই নীল মনিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’ ‘লিখতে পারি না কোনও গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।