শীতের দিন এক কাপ চা। মন সতেজ করতে আর কী লাগে? মন ভালো করার পাশাপাশি ত্বকও কিন্তু সতেজ সুন্দর রাখা যাবে চা-পাতা দিয়েই। মৌসুম বদলের সময়টায় চুল, ত্বকের যত্নে চা পাতার সঙ্গে বাড়তি উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন নানা রকম প্যাক।
ঘরে তৈরি প্যাক
ব্রণের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, গ্রিন টির পানি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তুলা দিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন। শীতের রোদে অনেক সময়ই ত্বকে কালো ছোপ পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ১ চা-চামচ গ্রিন টি পাতা, ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া এবং গোলাপ জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। মুখে ও হাতে-পায়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুলে কালচে দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে। গ্রিন টির পানি ও গোলাপ জল মিশিয়ে ঘুমানোর আগে মুখে তুলা দিয়ে লাগিয়ে ভালো মানের ক্রিম লাগালে ত্বক কোমল থাকবে। বডি স্ক্রাবের জন্য গ্রিন টির পানি আধা কাপ, মধু, লেবুর রস ও টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে হাতে-পায়ে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। একটু পর হালকা গরম পানি দিয়ে মালিশ করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
অনেক সময়ই ঘুম থেকে ওঠার পর চোখে ফোলা ফোলা ভাব থাকে। ২টি কালো চায়ের টি-ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ রেখে চোখের ওপর দিলে ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যাবে। ১ কাপ গ্রিন টির পানি, ১টি লেবুর খোসা, ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ নারকেল তেল একটি পাত্রে গরম করে জ্বাল দিয়ে দিন। তেলটি ঠান্ডা করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিলে খুশকি কমে যাবে। এটি মাসে ৩ থেকে ৪ বার করতে পারলে ফলাফল ভালো আসবে। বাজারে যেসব কন্ডিশনার পাওয়া যায় সেগুলোর পরিবর্তে চা পাতা দিয়েই ভালো মানের কন্ডিশনার তৈরি করে ফেলা যায়। ২ কাপ গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ কালো চা দিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে শ্যাম্পু করার পর চুলে লাগালে কন্ডিশনারের কাজ করবে।
এ ছাড়া বাজারে টি ট্রি অয়েলের ফেসওয়াশ পাওয়া যায়, যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত অথবা সংবেদনশীল, তাঁরা ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। শুধু রূপচর্চাই নয়, কালো চা এবং গ্রিন টি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। গ্রিন টিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, তাই প্রতিদিন ২-৩ কাপ চা খেলে মেদ কমতে সাহায্য করবে। এই শীতে কালো চায়ের সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে আরাম পাবেন।