রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্ট্রেইটনারের অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং রিবন্ডিং করার সময় ব্যবহৃত কেমিকল চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই চুল সোজা করতে ব্যবহার করা যায় ঘরোয়া উপাদান।
নারিকেল তেল ও লেবু: একটি পাত্রে সমপরিমাণে তাজা লেবুর রস এবং নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। চুল অনুযায়ী এই পরিমাণ বুঝে নিতে হবে। মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেফ্রিজারেটরে রাখুন যেন তা খানিকটা ঘন হয়ে ওঠে। এরপর পুরো চুলে ও মাথার তালুতে মালিশ করে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই মিশ্রণ চুল সোজা ও ঝলমলে রাখতে সাহায্য করে।
ক্যাস্টর অয়েল এবং সয়াবিন তেল: দুই টেবিল-চামচ ক্যাস্টর তেল এবং এক টেবিল-চামচ সয়াবিন তেল মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। কুসুম গরম অবস্থায় মাথার ত্বকে এবং পুরো চুলে মালিশ করে নিন।
৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
ডিম ও জলপাই তেল: দুটি ডিম ভালোভাবে ফেটে নিন এবং পরিমাণ মতো জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিন। চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
ডিম ও জলপাইয়ের তেল চুল মজবুত করে এবং চুল সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে নিন। গোসলের শেষে এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। যেন নিচের অংশ পুরোপুরি ভেজে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুল সোজা ও ঝলমলে করে তুলবে।
দুধ: চুল শ্যাম্পু করার পর একটি স্প্রে বোতলে এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ দুধ নিন এবং ভেজা চুলে স্প্রে করুন। এরপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল ভালোভাবে আঁচড়ে নিন।
৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা: চুলের যত্নে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী বেশ পরিচিত। এই পাতার ভেতরের জেলের মতো অংশ আলাদা করে নিয়ে জলপাইয়ের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এক কাপ তেলের সঙ্গে আধা কাপ পরিমাণ জেল মেশান।
পুরো চুলে সমানভাবে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যম্পু করে ফেলুন। এই মিশ্রণ চুল মশ্রিণ ও সোজা করতে সহায়ক।
কাঠবাদামের তেল ও কন্ডিশনার: নিয়মিত যে কন্ডিশনার ব্যবহার করেন তার সঙ্গে দুতিন ফোঁটা কাঠবাদামের তেল মিশিয়ে নিন। এরপর কন্ডিশনারের মতো করেই ব্যবহার করুন।
সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে চুল মশ্রিণ ও সোজা করবে।