উপকরণ:
যে কোনো বড় মাছের টুকরা ৫,৬টি। আলু সিদ্ধ ৩টি (মাঝারি)। কাঁচামরিচ-কুচি ৪টি। গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ। আদা ও রসুন বাটা ১ চা-চামচ করে। পেঁয়াজকুচি ২টি। লালমরিচ-গুঁড়া আধা চা-চামচ। ভাজা ধনে ও জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ করে। গরম মসলা আধা চা-চামচের কম। ধনেপাতা-কুচি ১ মুঠ। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। ডিম ২টি (একটি কিমায় দিতে হবে, অপরটি ফেটে রাখুন কাবাব ভাজার আগে গড়িয়ে নেওয়ার জন্য)। বিস্কুটের গুঁড়া অথবা ওটস ২ কাপ। ভাজার জন্য তেল পরিমাণ মতো।
পদ্ধতি: প্রথমে মাছের টুকরাগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে লবণ, লেবুর রস ও সামান্য হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। ঠাণ্ডা হলে মাছের কাটা বেছে নিয়ে কিমা করুন।
আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে চটকে নিন। তারপর পেঁয়াজকুচি, কাঁচামরিচ-কুচি, ধনেপাতা-কুচি সব বাটিতে নিয়ে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। এতে মাছের কিমা, আলু ভাজার মসলাগুঁড়া, গরম মসলাগুঁড়া, আদা ও রসুন বাটা, লাল মরিচ ও গোলমরিচের গুঁড়া সব এক সঙ্গে ভালো করে হাত দিয়ে মেশাতে হবে। তারপর ডিম ফেটে দিয়ে মিশিয়ে নিন।
এখন হাতে পরিমাণ মতো মিশ্রণ নিয়ে পছন্দ মতো আকারে কাবাব বানিয়ে নিন। সব বানানো হলে ফ্রিজে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সেট হওয়ার জন্য রেখে দিন।
একটি ডিম ফেটিয়ে নিন। তাতে একটা একটা করে কাবাব ডুবিয়ে, বিস্কুটের গুঁড়া অথবা ওটসে গড়িয়ে নিন। এভাবে সবকটা কাবাব ডিম ও বিস্কুটের গুঁড়ায় গড়িয়ে আবার ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। কিংবা আরও বেশি সময়ও রাখতে পারেন।
এরপর যখন খাবেন, তার আগে বের করে গরম ডুবো তেলে সোনালি রং করে ভেজে তুলুন। কিচেন টিস্যুর উপর রাখুন যেন অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়।
পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে সস কিংবা পোলাও বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।