সৌদির পর এবার ইসরায়েল সফরে ট্রাম্প

Spread the love

আয়না২৪ ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরব থেকে এবার ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার সৌদি আরবে ৪০টি মুসলিম দেশের সম্মেলনে ইসলাম নিয়ে দেওয়া বক্তব্য শেষে তিনি ইসরায়েলের পথে রওয়ানা করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুইদিনের সফরে প্রথমে তিনি তেল আবিবর আর জেরুজালেম যাবেন। পরে পশ্চিম তীর সফরের কথা রয়েছে তার। ট্রাম্পের সফরকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে ইসরায়েলে।

 

হোয়াইট হাউস বলেছে, আরব অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর সহায়তা নিয়ে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত মিসর, জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইত্যাদি দেশের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বহুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। বিগত ওবামা প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তবে ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার কাল থেকেই ফিলিস্তিনবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে আসছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন শান্তি প্রচেষ্টার জন্য ট্রাম্পের সফরকে তাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
মুসলিম বিশ্বের একটি বড় অংশ ট্রাম্পকে শুরু থেকেই ইসরায়েল-ঘেঁষা বলে মনে করছে। তিনি অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিষয়ে কী অবস্থান নেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ট্রাম্প দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মার্কিন অঙ্গীকার ধরে রাখবেন কি না, তা নিয়েও অনেকের উদ্বেগ আছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আভাস দিয়েছে, নিজের অবস্থানগত জায়গা থেকে তিনি ফিলিস্তিন আর ইসরায়েল দুই পক্ষকে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিতে পারেন।

ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন ‘আরব ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলন’ মঞ্চ থেকে নিজের ইসলাম বিদ্বেষী ‘নেতিবাচক’ ভাবমূর্তি শোধরানোর একটা চেষ্টা শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্মেলনের মঞ্চে তিনি বলেন, ‘ইসলামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও লড়াই নেই। দুটো বিশ্বাস, দুটো ধর্ম বা দুটো সভ্যতার মধ্যে লড়াই নেই। লড়াইটা ভালোর সঙ্গে খারাপের। মানুষের জীবন শেষ করে দেয় যে সব বর্বর অপরাধী, লড়াইটা তাদের সঙ্গে।’

সম্মেলন শুরুর আগে রবিবার মিশর, কাতারসহ এক ঝাঁক আরব দেশের নেতার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আটদিনের সফরসূচির অংশ হিসেবে বুধবার ২৪ মে ট্রাম্প যাবেন ইতালির রোমে। সেখানে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষত শেষে তিনি বেলজিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর ২৫ মে ব্রাসেলসে ন্যাটে সামিটে যোগ দেবেন। শেষদিন শুক্রবার ২৬ মে যাবে সিসিলিতে। সেখানে জি-সেভেন সদস্য দেশগুলোর বৈঠকে অংশ নেবেন ট্রাম্প।