আয়না ২৪ ডেস্ক
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাংলাদেশে আসা ৮০ শতাংশ রোহিঙ্গা নারী মায়ানমারেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানালেন বাংলাদেশ সফররত কফি আনান কমিশনের সদস্যরা। মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই এই তথ্য দেন তাঁরা।
সাক্ষাৎ শেষে সংবাদমাধ্যমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের অভিযোগের সঙ্গে কফি আনান কমিশনের সদস্যরা একমত প্রকাশ করেছেন। তাঁরা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিজেদের চোখে দেখে এসেছেন। কমিশন সদস্যরা জানিয়েছেন, মায়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আসা ৮০ শতাংশ নারীই মায়ানমারে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। রোহিঙ্গার সংখ্যা আনুমানিক ৫ লক্ষ।’’
এ দিন আলোচনা শেষে কফি আনান কমিশনের সদস্য ঘাসাম সালামে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘ধর্মীয় কারণ একটি মায়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটা। তবে একমাত্র নয়। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বিষয়টিও এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’’
উল্লেখ্য, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছান কফি আনান কমিশনের তিন সদস্য। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন মায়ানমার নাগরিক উইন ম্রা ও আই লুইন এবং লেবাননের নাগরিক ঘাসাম সালামে। এর পর ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি ঢাকা থেকে তাঁরা কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শণ করে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন। সেখান থেকে ফিরে ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অপ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্যাডিজ (বিস) কার্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের সদস্যরা।