আয়না২৪ ডেস্ক
পরিচিতজনদের সকলের বাড়িতে পৌঁছে যায় সুদৃশ্য মোড়কে আবৃত মিষ্টির প্যাকেট। পরচিতি কারো কাছ থেকে কাজু আর বরফির প্যাকেট পেলে কার না ভাল লাগে! কিন্তু প্যাকেটের গায়ে জুড়ে দেওয়া চিঠি দেখে সবার চোখ কপালে! কেননা এই মিষ্টি এসেছে এক অদ্ভুত ‘খুশি’র খবরে। বিয়ের বাঁধন থেকে মুক্তি, অর্থাৎ বিবাহ বিচ্ছেদ উদযাপন করতে এই মিষ্টির আয়োজন।
সকলকে অবাক করে নিজের ডিভোর্স সেলিব্রেট করতে ঠিক এ কাজই করলেন ভারতের রাজকোটের এক ব্যক্তি। চেনা পরিচিতদের মধ্যে বিলি করলেন প্রায় ৫০ কেজি কাজু-বরফি।
ছাব্বিশ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম রীঙ্কেশ। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। বছর খানেকের বিবাহিত জীবন তাঁর। কিন্তু সম্পর্কের আইনী বাঁধন কাটতে আদালতের দ্বারস্থ হন রীঙ্কেশ। কিন্তু আইনী মারপ্যাচে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। এমনকী বড় বড় আইনজীবীরাও তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি। শেষমেশ গত ১৫ এপ্রিল ডিভোর্স পান ওই ব্যক্তি। আর তারপরই আনন্দে আত্মহারা হয়ে চেনা পরিচিতদের পাঠাতে থাকেন মিষ্টির প্যাকেট। প্রায় ৫০ কেজি কাজু-বরফি বিলিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ উদযাপন করলেন রীঙ্কেশ ।
কিন্তু বিচ্ছেদ তো যন্ত্রণার! তাহলে এত আনন্দ পেলেন কী করে? রীঙ্কেশ বললেন, অনেকেই বিচ্ছেদে কান্নাকাটি করে। কিন্তু তা করার কী আছে? ডিভোর্স আসলে তাঁর কাছে বিবাহের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি। মধুর পাওনা। আর তাই সে আনন্দকে মিষ্টি বিলিয়েই উদযাপন করছি।
তবে এখানেই শেষ নয়। বহু মানুষই যে এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারও প্রমাণ পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। কী রকম? তাঁর ডিভোর্সের খবর পাওয়ার পর থেকেই কল আর মেসেজে ভেসে যাচ্ছে তাঁর মুঠোফোন। একদিকে অভিনন্দনের বন্যা। পাশপাশি সকলেই জানতে চাইছেন, এই আইনী গ্যারাকল তিনি কাটালেন কীভাবে ?
অনেকেরই বিশ্বাস, এ দেশে আইন নাকি নারীদের পক্ষে। আর সেই আইনের বাধা টপকে ডিভোর্স হাসিল করা কি চাট্টিখানি কথা! তা যখন এই ব্যক্তি আদায় করতে পেরেছেন তখন কৌতূহলের শেষ নেই। তাই অভিনন্দন জানিয়ে সে কথাই সকলে জানতে চাইলেন তাঁর কাছে।
কিছুদিন আগেই বলিউডি ছবিতে উঠে এসেছিল ‘ব্রেক আপ পার্টি’র কথা। তা দেখে অনেকেই চমকে উঠেছিলেন। তবে বদলানো সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে রুপোলি পর্দার খাতিরে অনেকে তা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু যে বিয়ের সঙ্গে সামাজিক নানা অনুষঙ্গ জড়িয়ে আছে এবং যা প্রায় একটি প্রতিষ্ঠানের মতো, তা ভাঙলেও যে কেউ এভাবে উদযাপন করতে পারে, তা চিন্তা করতে পারছেন না অনেকেই। সত্যিই সময় যে বদলে গেছে এখন আর তা বলার অপেক্ষা রাখে না!