আয়না২৪ ডেস্ক
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর একঘরে হয়ে পড়া কাতার ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে সমর্থন করছে। কাতার কর্তৃপক্ষের দাবি, হামাস কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। বরং সংগঠনটিকে ‘বৈধ প্রতিরোধ সংগ্রাম’ বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি।
রোববার রাশিয়া টুডেতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন থানি। তিনি বর্তমানে রাশিয়া সফরে রয়েছেন।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হামাস একটি বৈধ প্রতিরোধ সংগ্রাম। যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে। কিন্তু সব আরব দেশই জানে এটা ফিলিস্তিনের মানুষের বৈধ প্রতিরোধ সংগ্রাম।’
তবে কাতারের বিরুদ্ধে হামাসকে সহযোগিতা করার যে অভিযোগ সৌদি আরব করছে তা অস্বীকার করেছেন থানি।
তিনি বলেন, ‘আমরা হামাসকে সমর্থন করি না। আমরা ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে সমর্থন করি।’
মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড ও ফিলিস্তিনের হামাসকে সাহায্য করা এবং ইরানের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের অভিযোগ এনে সৌদি আরব ও তার তিন মিত্র কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে।
প্রথম দফায় সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সম্পর্ক ছিন্ন করলেও পরের দফায় লিবিয়া এবং ইয়েমেনও কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে। এছাড়া সেনেগাল ও মালদ্বীপও কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে। আর জর্ডান সম্পর্কছিন্ন করলেও পরে তা শিথিল করে।
তবে কুয়েত আমির উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।