আয়না২৪ ডেস্ক
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নতুন করে দমন-পীড়ন বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। খবর রয়টার্সের।
মিয়ানমার বিষয়ে ওআইসির বিশেষ দূত সাঈদ হামিদ আলবার রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কম্বোডিয়া ও রুয়ান্ডার মতো যেন এখানে আরেকটি গণহত্যা না ঘটে এ ব্যপারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিষয়ে করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে ওআইসির এক বিশেষ বৈঠক ডেকেছে মালয়েশিয়া। বৈঠকের ঠিক আগে সাঈদ হামিদ জাতিসংঘের প্রতি এ আহ্বান জানান। ৫৭টি মুসলিম দেশ নিয়ে এ সংস্থা গঠিত।
সাঈদ হামিদ বলেন, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর শুরু হওয়া এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৮৬ জন নিহত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে ৬৬ হাজার রোহিংগা। তাই এখন আর এটি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এখন এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাঈদ বলেন, আমরা কলম্বিয়া ও রুয়ান্ডার মতো আরেকটি গণহত্যা দেখতে চাই না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুধু দেখছে। আর কত মানুষ মরবে? আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছি। আমাদের কাজ হলো সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা কী করতে পারি তা করা।
শরণার্থী, স্থানীয় লোকজন ও মানবাধিকার গ্রুপগুলোর ভাষ্য, মিয়ানমারের সেনারা হত্যা, রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করছে ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী গত অক্টোবর থেকে শুরু করা কথিত সন্ত্রাসী দমন অভিযানে শ খানেক রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বেশ কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের সরকার অবশ্য রাখাইন রাজ্যে কোনো ধরনের হত্যা-নির্যাতন চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।