আয়না২৪ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া সফরকালে পতিতাদের সঙ্গে মেশেননি বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার সুবাদে লাস্যময়ীদের সঙ্গে মেলামেশা করার করার সুযোগ সত্ত্বেও ট্রাম্পকে কেন যৌনকর্মী ভাড়া করা লাগবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তাঁর মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা যৌন কেলেংকারির অভিযোগ তুলেছে তাদের কোনো নৈতিকতাই নেই, তারা যৌনকর্মীদের চেয়েও খারাপ।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করে ট্রাম্পকে বিজয়ী হতে সাহায্য করেছে বলে এক যৌথ প্রতিবেদনে দাবি করেছিল সিআইএসহ সব মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।
এই প্রতিবেদনে একজন ব্রিটিশ গোয়েন্দার বরাতে দাবি করা হয়, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে একটি হোটেলে যৌনকর্মীদের সঙ্গে ট্রাম্প দেখা করছেন বলে রুশ গোয়েন্দাদের কাছে একটি ভিডিও রয়েছে। একে ব্যবহার করে ট্রাম্পকে নিজেদের কথা মতো চলতে বাধ্য করছে রাশিয়া।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের এ তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম। এসব প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে মস্কোতে অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে যৌনকর্মীদের ফাঁদে পড়েন ট্রাম্প।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এমন দাবির উল্লেখ থাকায় তীব্র ক্ষোভ জানান ট্রাম্প।
গোয়েন্দা সংস্থা সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রতিবেদনের তথ্য ফাঁস করছে দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে নাৎসী জার্মানির আমলের আচরণের অভিযোগ করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের যৌন কেলেংকারির ভিডিও থাকা নিয়ে মুখ খোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতে ট্রাম্প যখন মস্কোতে এসেছিলেন, তখন তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না। আর রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও জানতো না যে তার কোনো রাজনৈতিক আকাঙ্খা ছিল।
পুতিন বলেন, এটি পুরোপুরি বাজে কথা যে রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রত্যেক মার্কিন ধনকুবেরের পেছনে লেগে থাকে।
ট্রাম্পকে পরিণত মানুষ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও আমাদের যৌনকর্মীরা বিশ্ব সেরা, তবুও আমার পক্ষে এমনটি বিশ্বাস করা কঠিন যে, ট্রাম্প সমাজের নৈতিকতা হারানো মেয়েদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য কোনো হোটেলের দিকে ছুটে যাচ্ছেন।’