আয়না২৪ ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র বাক যুদ্ধের মধ্যেই আকষ্মিক রাশিয়ার দিকে তাক করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের এই পদক্ষেপে হতবাক হয়েছেন অনেকে। যদিও ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যে আঘাত করার অনেক আগে মাঝপথেই ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝপথে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে নাকি ইচ্ছা করেই সেগুলিকে আগে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।
মার্কিন গোয়েন্দাদের ভাষ্য, এদিন রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়। মিসাইলটি সম্ভবত কে এন-১৭ ব্যালিস্টিক মিসাইল। তবে কিছুকক্ষণের মধ্যে জাপানের সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভেঙে পড়ে। মিসাইলটি উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকেও ছোড়া হয়নি।
দ্য সিওল ইকোনমিক ডেইলিতে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, মিসাইলটি রাশিয়ার উদ্দেশ্যে ছোড়া হলেও ৪৮ কিলোমিটার যাত্রাপথ পেরনোর পর ‘ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়। ওই সংবাদপত্রের দাবি, মিসাইলটি যদি ধ্বংস না করে দেওয়া হত, তাহলে রুশ সেনার সামুদ্রিক ঘাঁটিতে আছড়ে পড়তে পারত।
রুশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির প্রধান ভিক্টর ওজেরভ জানিয়েছেন, এই খবর পাওয়ার পরই দেশের উত্তরভাগের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সজাগ করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট । তৈরি রাখা হয় রুশ আকাশ সেনাদের। কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই দেশই একত্রে উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে কাজ করার ইঙ্গিত দেয়। এই ক্ষেোভই উনের এই পদক্ষেপ! আন্তর্জাতিক মহলে এখন ঘুরেফিরে সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।