আয়না ২৪ ডেস্ক
বরফের সাদা চাদরে ঢাকা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও কানেটিকাট। গতকাল শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে অবিরাম তুষারপাত। দমকা বাতাসের সঙ্গে নেমে আসা তুষারপাতে সড়ক-জনপদ সব যেন একাকার হয়ে গেছে।
নিত্য জেগে থাকা নিউইয়র্কের রাস্তাঘাট এখন অনেকটাই জনশূন্য। একান্ত জরুরি কাজ ছাড়া নাগরিকদের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিতে আবহাওয়াজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরসহ আশপাশের বিমানবন্দরে ১৫ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের কারণে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন বিমানবন্দরগুলোতে।
গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত নিউজার্সির মানালাপালান এলাকায় এক ফুটের বেশি তুষার পড়েছে। তুষারপাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। নিউজার্সির টামস রিভার এলাকায় শীতের তীব্রতা হিমাঙ্কের ২০ ডিগ্রি নিচে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, তুষারপাত বন্ধ হলেও শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকবে পুরো সপ্তাহ।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রো কমো নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন। মূল নগর কেন্দ্র ছাড়াও পৌর এলাকায় পরিচ্ছন্নতা-কর্মীদের নামানো হয়েছে। জনমানবহীন সড়ক জনপথে তুষারের স্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। নিউজার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করে পরিচ্ছন্নতা-কর্মীদের কাজ তদারকের জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স নিয়োগ করেছেন।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও কানেটিকাটের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জনমানবহীন নগর কেন্দ্রগুলোতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কার্যত বন্ধ ছিল। অধিকাংশ কর্মজীবী কাজে যেতে না পারলেও ম্যানহাটনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কোনো কোনো ক্যাবচালক।
অতিরিক্ত আয়ের জন্য ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন। ক্যাবচালক মোসাব্বির আহমেদ বললেন, ম্যানহাটন থেকে এস্টোরিয়ায় পাঁচ মাইলের পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা। নিউজার্সিতে বসবাসরত সাইফুল ইসলাম জানালেন, তুষারপাতের কারণে কাজে না গিয়ে ঘরেই থাকতে হচ্ছে। তবে নর্থব্রানস উইকে বসবাসরত স্কুলছাত্রী ইশরা চৌধুরী অবিরাম তুষারপাতের কারণে বেশ খুশি। স্কুলে আরও এক দিন বেশি ছুটি পাওয়া যাচ্ছে কি না, এ ব্যাপারে জানতে খুব উত্সুক এ শিক্ষার্থী।