• Home  / 
  • বিশ্ব  / 

‘যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত’

জানুয়ারি ১০, ২০১৭
Spread the love

আয়না ২৪ ডেস্ক

সদ্য সমাপ্ত মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রাশিয়া হ্যাকিং ঘটিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগ শুনতে শুনতে রাশিয়া ‘ক্লান্ত’।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন তুলে ধরা ও হ্যাকিংয়ে পুতিনের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে এই প্রথম প্রতিক্রিয়া জানালো রাশিয়া।

পেসকভ যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগকে ‘উইচ-হান্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। মার্কিন নির্বাচনে ঘটা হ্যাকিংয়ে রাশিয়া কোনওভাবেই জড়িত ছিল না।

গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পও হ্যাকিংয়ের ঘটনাকে উইচ-হান্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।  অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ট্রাম্প হ্যাকিংয়ে রুশ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। তবে রবিবার ট্রাম্পের সম্ভাব্য চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রেইবাস জানান যে, হ্যাকিং নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন মেনে নিয়েছেন তিনি। তবে তিনি এটা জানাননি যে, ট্রাম্প হ্যাকিংয়ে রাশিয়ার জড়িত থাকার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন কিনা।

হ্যাকিংয়ে রুশ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এর মধ্যেই বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৩৫জন রুশ কূটনৈতিককে বহিষ্কার করেছেন।

গতকাল পেসকভ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগ শুনতে শুনতে রাশিয়া ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, রাশিয়াকে জড়িয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটা ভিত্তিহীন।

যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত রবিবার ওই প্রতিবেদন পেয়েছেন। এরপর রাশিয়া এই প্রথম কোনো প্রতিক্রিয়া জানাল। গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি বলছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির ই-মেইল হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে দেওয়াই ছিল ওই নির্দেশের লক্ষ্য।

পেসকভ গতকাল বলেন, মস্কো কোনো হ্যাকিং আক্রমণে জড়িত ছিল না। রাশিয়া বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ভিত্তিহীন অভিযোগগুলোর পক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নেই। আনাড়ি ও অপেশাদারভাবে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। তারা কিসের ভিত্তিতে এসব বলছে, মস্কো জানে না। এটা ‘উইচ-হান্টের’ কথা মনে করিয়ে দেয়।

এদিকে, ট্রাম্পের হবু চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রিবাস গত রোববার ফক্সনিউজকে বলেছেন, হবু প্রেসিডেন্ট ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য মেনে নিয়েছেন। তিনি রাশিয়ার ভূমিকা অস্বীকার করছেন না।

এএফপি জানায়, প্রিবাস বলেন, ডোনাল্ট ট্রাম্প অস্বীকার করছেন না যে রাশিয়ার কেউ এই হ্যাকিংয়ে জড়িত ছিল।

মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে এফবিআই, সিআইএ ও এনএসএর যৌথ প্রতিবেদনের উল্লেখ করে প্রিবাস বলেন, ‘আমি মনে করি, ট্রাম্প এই প্রতিবেদনটি মেনে নিয়েছেন।’  নির্বাচনের বৈধতার ভিত্তি দুর্বল করতে এবং রিপাবলিকান নির্বাচনী প্রচারণা সাহায়তার জন্য পুতিন ওই হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে মার্কিন গোয়েন্দারা উল্লেখ করেছেন। তবে পুতিন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।