আয়না২৪ ডেস্ক
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে পরাশক্তি আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে আধিপত্যের সংঘাত এখনো থামেনি। সিরিয়ায় আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলা দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও, পরোক্ষভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে দুই মহাশক্তি। মঙ্গলবার সিরিয়ার ইদলিবে রাসায়নিক গ্যাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র দামেস্কের একটি সেনা ঘাটিতে বিমান থেকে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ্ দুই দেশের বৈরিতা তুঙ্গে উঠেছে।
এমন উৎতপ্ত পরিস্থিতিতে বাল্টিক সাগরে সাবমেরিন পাঠাচ্ছে রাশিয়া। তবে এই সাবমেরিন আর পাঁচটি রণতরী থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই চরম উদ্বেগে আছে আমেরিকসহ ন্যাটোভূক্ত দেশগুলো। এক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ‘টাইফুন ক্লাস’ অন্তর্ভুক্ত পরমাণু শক্তি চালিত এই সাবমেরিনটির নাম দিমিত্রি দনস্কোয়। প্রায় ২০টি ব্যালিস্টিক নিউক্লিয়ার মিসাইল ও ২০০টি অস্ত্র নিয়ে ব্যারেন সাগর থেকে রওনা দিয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই সাবমেরিনটি।
খবর অনুযায়ী, রাশিয়ার ব্যারেন সাগর থেকে রওনা হয়ে নরওয়ে ও ডেনমার্কের আশেপাশে নজরদারি চালাবে ‘দনস্কোয়’। ওই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আমেরিকা ও ন্যাটো দেশগুলির রণতরী। তাই রাশিয়া ওই জায়গার নাম দিয়েছেন ন্যাটোর ‘সুইমিংপুল’। ঠান্ডা লড়াইয়ের আমলে নির্মিত ৫৭৪ ফুট লম্বা এই সাবমেরিনে প্রায় ১৬০ জন লোকের জায়গা আছে। রয়েছে ৫০০০ মাইল পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম ২০ টি নিউক্লিয়ার মিসাইল, টরপেডো ও ক্রুজ মিসাইল। লাগাতার ১২০ দিন জলের তলায় ডুব দিয়ে থাকতে পারে এই সাবমেরিন।
১৯৮০ সালে সোভিয়েত সেনারা প্রায় ছয়টি টাইফুন ক্লাস সাবমেরিন বানায়। তার মধ্যে এই মুহূর্তে সচল রয়েছে ‘দনস্কোয়’। উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার ‘ওহিও’ ক্লাস সাবমেরিনগুলোকে প্রতিহত করা। আমেরিকার ওই সাবমেরিনগুলো ১৯২ টি অস্ত্র বহনে সক্ষম।