• Home  / 
  • বিশ্ব  / 

মাদক পাচারের অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রয়োজনে ছেলেকে হত্যার নির্দেশ- দুতার্তে

সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ ডেস্ক

মাদকের বিরুদ্ধে আবারো কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছেন  ফিলিপাইনের  রাষ্ট্রপতি  রদ্রিগো দুতার্তে। তিনি এবার বলেছেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা মাদক চোরাচালানের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। আর এই কাজ যেসব পুলিশ করবে, তাদের তিনি সুরক্ষা দেবেন।-খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।  

বিরোধীদলীয় একজন পার্লামেন্ট সদস্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসে প্রেসিডেন্টের ছেলে পাওলো দুতার্তের (৪২) বিরুদ্ধে সিনেটে তদন্ত শুরু হয়।পাওলো দুতার্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন চীনা মাদক ব্যবসায়ীকে চীন থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করতে সহায়তা করেছিলেন।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে এ অভিযোগের বিষয়ে বিশেষভাবে কিছু বলেননি। কিন্তু গত বছর নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় তিনি বলেছিলেন, তাঁর সন্তানদের মধ্যে কেউ মাদকের সঙ্গে জড়িত নয়। তবে তারা যদি জড়িত হয়, তাহলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

 বুধবার রাতে ম্যানিলায় প্রেসিডেন্ট প্যালেসে সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, যদি আমার কোনো সন্তান মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তাদের মেরে ফেলুন। যাতে মানুষ আমাকে তাদের কথা বলতে না পারে। আমি পুলংকে (পাওলোর ডাকনাম) বলেছি, যদি তুমি সত্যি দোষী হও, তবে আমার আদেশে তোমাকে মেরে ফেলা হবে। আর যারা তোমাকে মারবে, আমি তাদের রক্ষা করব।’

ফিলিপাইনে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে দেশ থেকে মাদক নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন দুতার্তে (৭২)। নির্বাচিত হলে প্রয়োজনে তিনি এক লাখ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তকে হত্যা করার অভূতপূর্ব অভিযানের প্রতিশ্রুতি দেন। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযানে তিন হাজার ৮০০  বেশি লোককে হত্যা করেছে। এ ছাড়া বিচারবহির্ভূতভাবে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

দুতার্তে বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ৩০ লাখ মাদকাসক্তদের হত্যা করতে পারলে খুশি হবেন। কিন্তু তিনি বার বার জোর দিয়ে বলেন, তিনি পুলিশকে অবৈধ কিছু করার নির্দেশ দেননি। তাদের কেবল আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে প্রেসিডেন্টের ছেলে পাওলো দুতার্তের বিরুদ্ধে সিনেটে তদন্ত চলছে। ছবি: এএফপি

তবে দুতার্তের সহকারীরা সাংবাদিকদের সতর্ক করে দিয়েছেন যে প্রেসিডেন্টের সব কথা বিশ্বাস করা যায় না। কখনো কখনো তিনি ‘নিছক অলংকৃত’ বা ‘অতিশয়োক্তি’ করে মন্তব্য করেন।

কয়েকজন বিরোধীদলীয় সদস্য ও দুতার্তের সমালোচকদের অভিযোগ, তিনি ও তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দুই দশক ধরে দক্ষিণাঞ্চলীয় দাবাও শহরের মেয়র থাকার সময় তিনি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। দুর্নীতির এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দুতার্তে বলেন, তিনি দুর্নীতিবিরোধী যোদ্ধা হিসেবে সহজ-সরল জীবন যাপন করছেন।

এই মাসে সিনেটে শুনানির সময় বিরোধীদলীয় সদস্য বলেন, দাবাওয়ের উপ-মেয়র পাওলো দুতার্তে ও দুতার্তের জামাতা ‘দাবাও গ্রুপ’ নামে একটি অপরাধচক্রের সঙ্গে জড়িত। তবে তাঁরা দুজনই কোনো ধরনের অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।