আয়না ২৪ ডেস্ক
ভারতের কানপুরের কাছে দুটি রেল দুর্ঘটনায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জড়িত। বিহার পুলিশের তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত ২০ নভেম্বর কানপুরে লাইনচ্যুত হয় ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেস। ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুইশতাধিক। এ দুর্ঘটনার একমাস পর ২৮ ডিসেম্বর কানপুরের ৭০ কিলোমিটার দূরে রুরার কাছে আজমের-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের ১৪টি কোচ লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু না হলেও ৪৪ জন যাত্রী আহত হন।
এ ঘটনায় বিহারের আদাপুর থেকে মঙ্গলবার তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা পাক গুপ্তচর সংস্থার হয়ে কাজ করে। ভারতীয় রেলই তাদের টার্গেট।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, ব্রজেশ গিরি নামে নেপালের এক বাসিন্দা তাদের নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন পূর্ব চম্পারণে ঘোরাসাহানে বিস্ফোরণে রেললাইন উড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়। সেই চেষ্টা অবশ্য ব্যর্থ হয়। নেপালি নাগরিক ব্রজেশের সঙ্গে আইএসআই’র সরাসরি যোগ রয়েছে।
আটকদের মধ্যে মোতিলাল পাসোয়ান নামের একজন কানপুর রেল দুর্ঘটনায় পাক গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের কথা স্বীকার করেছে। মোতি জানান, সে ও অন্যান্য কয়েকজন কানপুরে রেল দুর্ঘটনা ঘটায়। মোতির দুই সহযোগী জুবের ও জিয়াতুল্লাহকে ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরো জানা যায়, ব্রজেশ কিশোর গিরি নামে নেপালের ওই বাসিন্দা বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আদাপুর গ্রামের দীপক ও অরুণ নামে দুই ব্যক্তিকে তিন লাখ টাকা দেয়। বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যর্থ হলে গিরি ওই দুজনকে জঙ্গলে গুলি করে হত্যা করে। গিরিকে ইতিমধ্যেই নেপালে গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারদের এ স্বীকারোক্তি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিহার পুলিশের এই তদন্তের ওপর নজর রাখছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।