আয়না ২৪ ডেস্ক
ভারতকে সর্বক্ষণ অশান্তিতে রাখতে চায় পাকিস্তান। তাই সারা বছর সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করে পাক সেনাবাহিনী। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে উঠে এল এই তথ্য। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বার্থে পাকিস্তানকে বিপুল অর্থ ও সামরিক সাহায্য দেয় আমেরিকা। আর নিঃশর্তে সেই সহায়তা দেওয়া হবে না, সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। পাকিস্তান সন্ত্রাসকে কী ভাবে সমর্থন জোগাচ্ছে এবং মার্কিন সাহায্য পেতে গেলে পাকিস্তানকে কী করতে হবে— সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হবে রিপোর্টটি। সেই রিপোর্টেই ভারতে নাশকতার পিছনে পাক ভূমিকার কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন বিশেষজ্ঞদের তৈরি এই রিপোর্টে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে যা লেখা হয়েছে, তা ঘোর অস্বস্তিকর ইসলামাবাদের পক্ষে। ভারত কাশ্মীরের অধিকার ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নে কোনও আলোচনায় রাজি নয় বলে মার্কিন রিপোর্টটিতে লেখা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সে রিপোর্টে এও লেখা হয়েছে যে ভারতের একাধিক নেতা কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছনোর জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন। পাক সেনাই বার বার সন্ত্রাসে সহায়তা করে সে চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বলে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা তাঁদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।
রিপোর্টটির নাম হল ‘আ নিউ ইউএস অ্যাপ্রোচ টু পাকিস্তান: এনফোর্সিং এইড কন্ডিশনস উইদাউট কাটিং টাইজ’। যে বিশেষজ্ঞরা এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন, তাঁরা কারা? মূল ভূমিকায় দ্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের লিজা কার্টিস এবং দ্য হাডসন ইনস্টিটিউটের হুসেইন হাক্কানি, যিনি আবার পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত। রিপোর্টের শিরোনাম থেকেই স্পষ্ট, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পথে আমেরিকা হাঁটবে না। কিন্তু আমেরিকার দেওয়া শর্ত পালন না করলে পাকিস্তান কোনও সাহায্য পাবে না।
শর্ত যে বেশ কঠিন হতে চলেছে, তা রিপোর্টের বিষয়বস্তু থেকেই পরিষ্কার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতে অস্থিরতা জিইয়ে রাখার জন্য পাকিস্তানের সেনাকর্তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে সর্বক্ষণ সমর্থন দিতে থাকেন এবং কাশ্মীর সমস্যার দিকে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান।’’ মার্কিন বিশেষজ্ঞরা লিখেছেন— পাকিস্তান মনে করে ভারত শান্তিতে থাকলে পাকিস্তানের অস্তিত্বই সঙ্কটে পড়ে যাবে। এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই বলেও রিপোর্টে লেখা হয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসকে তাদের নিরাপত্তা নীতি এবং বিদেশ নীতির অঙ্গ বানিয়ে ফেলেছে বলেও মনে করছে আমেরিকা।