আয়না২৪ ডেস্ক
আগামী ২০১৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে দলটির প্রচারকাজে কোনো ত্রুটি রাখতে চাইছে না দেশটির প্রাচীন দল কংগ্রেস। বিশেষ করে ওই নির্বাচনে ডিজিটাল প্রচার-প্রচারণার পক্ষে জোর দিতে চাইছেন দলটির সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাহুলের নির্দেশেই নতুন করে সাজানো হচ্ছে কংগ্রেসের ডিজিটাল কমিউনিকেশনস। এই কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাঁর পছন্দসই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী এবং দলটির সাংসদ রম্যাকে।
এর আগে এই নেতৃত্বে ছিলেন দীপিন্দর হুডা।
যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে রম্যাই যে দায়িত্বে আসছেন সেই সিদ্ধান্ত পাকাপাকি হয়েছে।
গর্ভনিরোধক যন্ত্র হাতে ভূমিষ্ঠ হল শিশু!
২০১২–তে কংগ্রেসে যোগ দেন এই কন্নড় অভিনেত্রী।পরে তিনি কর্নাটকের মান্ডিয়া কেন্দ্র থেকে সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় রম্যা। টুইটারে তাঁর ৪ লাখ ৪৩ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। যার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে দলের সহ সভাপতি রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট।
রম্যার একাধিক টুইট রীতিমতো আলোড়ন তুলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। টেক স্যাভি বিজেপিকে টক্কর দিতে আগামী দিনে এরকম একজন নেত্রীর হাতেই দলের ডিজিটাল কমিউনিকেশনের দায়িত্ব দিতে চান রাহুল।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রপ্রধান ও তাঁদের সম্পদের পরিমাণ জানুন
রম্যা তাঁর নিজের টুইটারে একাধিকবার বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আক্রমণ করেছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ছিল প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকরকে আক্রমণ করে দেওয়া টুইট বার্তা। পারিকর পাকিস্তানকে নরক বলে উল্লেখ করেছিলেন তাঁর টুইটে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রম্যা পাল্টা টুইট করে লিখেছিলেন, পাকিস্তান মোটেই নরক নয়, সুন্দর দেশ। তারপরেই অবশ্য রাজদ্রোহের অভিযোগে কর্নাটকে রম্যার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কে ভিট্টল গৌড়া নামে এক আইনজীবী।
সফল হননি বলে জীবনের সব কিছু শেষ তা নয়
সূত্রের খবর রম্যার পদন্নোতি নিয়ে আবার দলের অভ্যন্তরেই শুরু হয়েছে নানামুখী বিতর্ক। তবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চাননি। সূত্রের খবর দলের ডিজিটাল কমিউনিকেশন একেবারেই সক্রিয় না হওয়ায় রাহুল বেশ রুষ্ট হয়েছেন।